শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কী বার্তা বিদেশি কূটনীতিকদের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

একই দিনে ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ সফর করে সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তাই দিয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা। নিজ নিজ দেশের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এ সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাওয়া গেছে আসন্ন নির্বাচন ও বাকস্বাধীনতার মতো ইস্যুতে তাদের প্রত্যাশার কথা। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেই তাদের চলমান সমর্থন অব্যাহত রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া দিয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন মাত্রা আনার বার্তা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে তাঁর সফর শেষে টুইটারে দুটি বার্তা লিখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র (বিগত) ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করেছে এবং করে চলেছে। অর্থনৈতিক অংশীদারি, নির্বাচনসহ (সবসময়) গণতান্ত্রিক শাসনের প্রচারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারি গভীরতর করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে পুনরায় নিশ্চিত করেছি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’ এরপর পৃথক টুইটে ডেরেক শোলে লিখেছেন, ‘গণতন্ত্র এবং সমাজের উন্নয়নের জন্য মৌলিক বিষয় হলো মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সদস্যদের কাছ থেকে এ দেশ ও এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য গণতান্ত্রিক শাসন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রচারে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শুনেছি।’

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করে আসা সাবেক এক কূটনীতিক জানান, ডেরেক শোলের এ সফরে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে তাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা পাওয়া গেছে। যেমন ডেরেক শোলে বলেছেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে- এ বিষয়টিতে জনগণের আস্থা আসতে হবে। জনগণ গ্রহণযোগ্য বললেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বলা যায়। এটিই আমাদের অবাধ, মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাখ্যা। শোলে বলেছেন, সরকার বলেছে তারা অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায়। এ বিষয়ে আমি আশ্বস্ত। তবে সুশীলসমাজকে চাপে রাখা, মানবাধিকার ও পূর্ববর্তী নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সফরে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথাই বলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারপ্রধানের কাছে ভারতের সরকারপ্রধানের বিশেষ বার্তা পৌঁছানো হয়েছে। সেখানেই শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বের প্রতি নরেন্দ্র মোদির পূর্ণ সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় যেসব সমস্যা আছে তা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এসব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গতকাল বলেছেন, আমরা খুব ভাগ্যবান যে অনেক দেশের নামজাদা কূটনীতিক এসেছেন। আমেরিকার সাতজন অত্যন্ত সিনিয়র কূটনীতিক এসেছেন, আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা এসেছেন আমাদের সঙ্গে তাদের দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে। এখানে নতুন নতুন যে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত হতে চান, সেজন্য এসেছেন। সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়, এ নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক বাংলাদেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক চায় ইইউ : কাদের

যুক্তরাষ্ট্র চায় সুসম্পর্ক রাখতে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পরিষ্কার বার্তা মার্কিন কূটনীতিকের : খসরু

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর