বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

লম্বা ছুটিতে ঝামেলাহীন ঈদযাত্রা

নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ, ফাঁকা রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক

লম্বা ছুটিতে ঝামেলাহীন ঈদযাত্রা

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে গতকাল আগেরবারের মতো ভিড় ছিল না -জয়ীতা রায়

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ দিনের লম্বা ছুটি শুরু হয়েছে গতকাল। রোজা ৩০টি হলে এ ছুটি গড়াবে ছয় দিনে। ঈদের আগে আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস নির্ধারিত থাকলেও এ দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে গতকালই ছুটি শুরু হয়েছে সরকারি অফিসগুলোয়। বেসরকারি বিভিন্ন দফতরেও ছুটি শুরু হয়েছে সরকারি ছুটির সঙ্গে সংগতি রেখে। দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রাও তুলনামূলক ঝামেলাহীন। নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় রাজধানী এখন একেবারেই ফাঁকা। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও আকাশ পথে বাড়ি ফিরছে মানুষ। গাবতলী, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীর চাপ থাকলেও যানজট বা ভোগান্তির চিত্র নেই। রাজধানীর বাইরে থেকেও আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিরা স্বস্তির ঈদযাত্রার খবর জানিয়েছেন। ঈদে বাড়ি ফেরা উপলক্ষে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক গতিতেই চলছে যানবাহন। মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল। সড়কে বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। রাজধানী থেকে ট্রেনগুলোও সময়মতো ছাড়ছে। নেই চিরচেনা ভিড়। স্ট্যান্ডিং টিকিটও ছিল সীমিত। কিছু ট্রেন বিলম্বে ছাড়লেও বেশির ভাগ ট্রেন সময়মতো ঢাকা ছেড়ে গেছে। তবে ট্রেনগুলোয় বাড়তি যাত্রী দেখা গেছে। প্রতি বছর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঈদযাত্রায় গাড়ির দীর্ঘ যানজট থাকলেও এবার তেমন চিত্র নেই। স্বস্তির মধ্য দিয়েই ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরছে। ব্যক্তিগত যানবাহন, মোটরসাইকেল, বাস ও ট্রেনে যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ প্রশাসন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহাসড়কে ৮ শতাধিক পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে নেই চিরচেনা যানজট। বুধবার সকাল থেকে সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহন দেখা গেলেও যাত্রীসংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় দিয়ে অনেকটা স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলাচল করছে। বিকালে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি দূর করে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। শিল্পপুলিশ সূত্র জানান, টঙ্গী ও গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলোয় গত বিকালে ছুটি হয়। ফলে আজ সকাল থেকে সড়কে যাত্রীর চাপ বাড়বে। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কঙ্কণ কুমার বিশ্বাস বলেন, ঈদযাত্রায় মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন ও নিশ্চিত করতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভবানীপুর থেকে জৈনাবাজার পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার তিনটি টহল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি মোবাইল টিমসহ একটি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে ও যানজট নিরসনে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১ হাজার সদস্য কাজ করছেন। তিনি বলেন, টঙ্গী থেকে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আমাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, উত্তরবঙ্গসহ ২৩ জেলার ৯২টি সড়কের যানবাহন টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। ঈদের সময় এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ৮-১০ গুণ বেড়ে যায়। এ কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এ ঈদযাত্রায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় চার লেনসহ দুই পাশে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুটি সার্ভিস লেনের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এতে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন চার লেন মহাসড়কের সুফল ভোগ করছেন এ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা এখনো চার লেনে উন্নীত হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার যাত্রীদের। এ ১৩ কিলোমিটারে যাতে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য প্রশাসন উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো ভূঞাপুর সংযোগ সড়ক দিয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে পাঠাচ্ছে। আর ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলোর জন্য এ ১৩ কিলোমিটার সড়ক একমুখী করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪০ কিলোমিটার সড়কে ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে। যদিও সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৬ কিলোমিটার অংশে দুর্ভোগ কমিয়ে আনাসহ সড়কটি স্বাভাবিক যান চলাচলের উপযোগী করে তুলতে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মূলত চার লেন প্রকল্পের কাজের কারণে সড়কের বেহাল দশা থাকায় এ আশঙ্কার সৃষ্টি। ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০.৫৮ কিলোমিটার চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। তবে নানা জটিলতায় বৃহৎ এ প্রকল্পের কাজে রয়েছে অনেকটাই ধীরগতি। সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যানজট নিরসনে চালক ও হেলপারদের সচেতন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সাতটি টিম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছে।

বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ঈদযাত্রায় যানজটের দুর্ভোগ লাঘবে মহাসড়কে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে জেলা প্রশাসন। মহাসড়কে চলাচলের সময় শৃঙ্খলা যেন ভঙ্গ না হয় সে বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের যাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে খুলে দেওয়া হয়েছে চার লেনের আন্ডারপাস, ওভারপাসগুলো। এতে বগুড়াসহ উত্তরের জেলার বাসিন্দারা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, সড়ক দুর্ঘটনা, টিকিট কালোবাজারি, যানজট, যানবাহন বিকলতার কবলে পড়ে যাত্রীদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সড়ক বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ বিভাগের সমন্বয়ে ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তাও প্রদান করে যাচ্ছে।

আমাদের রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। ঈদে এ রুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। গতকাল সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যাত্রীরা নৌপথ পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। গতকাল সকালে ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে দূরপাল্লার বাসের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা বেশি। সবাই স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন। যাত্রীরা জানান, এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির। তবে তীব্র গরমে কষ্ট হচ্ছে। যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফেরিঘাটের পাটুরিয়া প্রান্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়নি। দৌলতদিয়া প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রয়েছে। প্রথম দিন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদযাত্রায় তাদের মোটরসাইকেলে পারাপার একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হওয়ায় সমস্যা অনেকটাই কেটে গেছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ঈদে ২০টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচল করছে।

আমাদের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, পদ্মা সেতুর সুফলে স্বচ্ছন্দে বাড়ি ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো লাখো মানুষ। নেই ঘাটে বসে থাকার বিড়ম্বনা। মুহূর্তেই পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছে লাখো মানুষ। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। পদ্মা সেতুর সুফলের কারণে কাউকেই বসে থাকতে হচ্ছে না মাওয়া ঘাটে। সরাসরি ঢাকা থেকে গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছেন বাড়ির পথে। এ যেন স্বস্তির বাড়ি ফেরা। এদিকে গতকাল পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ থাকার কারণে দুটি ফেরির মাধ্যমে শিমুলিয়া ঘাট থেকে মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপার করা হয়। তবে আজ থেকে পদ্মা সেতুতে আবারও মোটরসাইকেল চলাচলের খবরে স্বস্তি ফিরেছে বাইকারদের মধ্যে। শরীয়তপুরগামী রেহানা বেগম বলেন, ‘এর আগে ঈদে এই শিমুলিয়া ঘাটে এসে অনেক কষ্ট করেছি। সকাল থেকে ফেরির অভাবে দুই দিন বসে থাকতে হতো। আর এখন মুহূর্তেই পদ্মা পাড়ি দিয়ে চলে যেতে পারি বাড়িতে। এখন বিড়ম্বনার আর ভয় নেই।’

আমাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে কুমিল্লাসহ দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার মহাসড়কের কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, চৌদ্দগ্রাম, মিয়াবাজার, পদুয়ার বাজার, আলেখার চর, ক্যান্টনমেন্ট, নিমসার, চান্দিনা, গৌরীপুর ও দাউদকান্দি এলাকায় যানজট নেই। কুমিল্লাগামী প্রাইভেটকারের যাত্রী ইমাম হাছান খোকন বলেন, ‘ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে কুমিল্লার লাকসামে এসেছি। কুমিল্লা অংশের কোথাও যানজট পাইনি। তবে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে কিছু যানজট ছিল।’ হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়ন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ঈদুল ফিতর কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ নিরলস কাজ করছে। ২২টি থানার ৬৪টি প্যাট্রোল টিমের পাশাপাশি কাজ করছে ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের পাশাপাশি এবারও বিশেষ ইউনিফর্মে মহাসড়কে কাজ করবেন হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য।

আমাদের ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা এলাকায় যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে এ চাপ বাড়তে থাকে। গতকাল সারা দিনই যানবাহনের চাপ ছিল সড়কে। তবে কোনো জটের সৃষ্টি হয়নি। এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজায় গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো জট দেখা যায়নি। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈমুর ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজার ম্যানেজার মো. মাহমুদুল আহসান বলেন, ‘আমাদের ১২টি লেন কাজ করছে। জট নেই। মাঝে মাঝে ভিড় হচ্ছে। তবে গতকাল সকালে মোটরসাইকেলের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এক্সপ্রেসওয়েতে সার্বক্ষণিক প্যাট্রোল টিম কাজ করছে।’

সর্বশেষ খবর