ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, এতে বাণিজ্যিক ক্ষতির পাশাপাশি সরকারের কথায় যে প্রাণহানি হয়, এক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনা থাকবে কি না জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজিটাল রাইটসে পরিণত হয়েছে। এটা মানবাধিকারের বিষয়। ইন্টারনেট বন্ধ বলেন বা সেটাকে সীমিত পর্যায়ে নিয়ে আসা বলেন, এ মানবাধিকার বিষয়টা মাথায় রেখে করতে হবে। যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে, সাংবাদিকসহ সবাই সত্যটি জানতে পারে। আমি আজ প্রথম দিনেই চেষ্টা করব, গত আন্দোলনে যে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন (ইন্টারনেট বন্ধ), তার তদন্তের জন্য ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, আন্দোলনের একটা মূল্য ছিল। আমি মনে করি, আমাদের প্রশাসনেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে মেধা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই জিরো টলারেন্স থাকবে।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আইসিটি সেক্টরে তরুণদের কাজের একটা বড় সুযোগ রয়েছে। এখানে যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে সংযোগ করে কাজ করতে হবে। কাজের চ্যালেঞ্জ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ তো অনেক ধরনের আছে। আমি আশাবাদী, জনগণ যে আস্থার জায়গা থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছে আমরা সেটি যথাযোগ্যভাবে পালন করতে পারব।
সাত সদস্যের কমিটি গঠন : পরে বিকালে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের বিষয়ে অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ইন্টারনেট বন্ধের নেপথ্যের মূল কারণ কী ছিল এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত ছিল সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এ কমিটি গঠিত হয়েছে। গতকালই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে বলেও জানা গেছে।