সিলেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল নতুন একটি বিসিক শিল্পপার্ক স্থাপনের। এই উদ্যোগ গ্রহণের প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় পার হয়েছে। কিন্তু এখনো নতুন বিসিকের জন্য জায়গা নির্ধারণই করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। ফলে বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে প্রকল্পটির কাজ শুরু নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন শিল্পপার্কটি নির্মিত হলে সিলেটের শিল্পায়ন অনেক এগিয়ে যাবে। কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৫০ হাজার লোকের। শিল্পায়নে পিছিয়ে পড়া সিলেটকে এগিয়ে নিতে নতুন একটি বিসিক শিল্পপার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ড. এ কে আবদুল মোমেন। নির্বাচনে জয়লাভ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি এ প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কাজ শুরু করেন। সিলেটে নতুন আরেকটি শিল্পপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিতে তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে নতুন একটি বিসিক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় জায়গা নির্ধারণের কাজ। কিন্তু অদ্যাবধি বিসিকের জন্য জায়গা চূড়ান্ত করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। বিসিক সূত্র জানায়, সরকার সারা দেশে ১০০টি শিল্পপার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে একটি হওয়ার কথা সিলেটে। বর্তমানে সিলেট মহানগরীর গোটাটিকর ও খাদিমে দুটি শিল্পপার্ক (বিসিক শিল্পনগরী) চালু রয়েছে। নতুন এই শিল্পপার্ক হওয়ার খবরে সিলেটের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। ৫০০ একর জায়গার ওপর এই শিল্পপার্ক স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়। একসঙ্গে এত বিশাল জায়গা না পেয়ে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকে ১৬৫ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করে বিসিক কর্তৃপক্ষ। বিসিকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাক হাসান ও পরিচালক আতাউর রহমান সিদ্দিকী প্রস্তাবিত জায়গাটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে এই জায়গাটি অধিগ্রহণ হয়নি। বিসিক সূত্র আরও জানায়, দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক ছাড়াও লালাবাজার ও সালুটিকরে বিসিকের জন্য প্রাথমিকভাবে জায়গা দেখা হয়েছে। সালুটিকরে একসঙ্গে ৫০০ একরের বেশি জায়গা রয়েছে। লালাবাজারেও রয়েছে পর্যাপ্ত জায়গা। তবে জায়গার মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় বিসিক কর্তৃপক্ষ পারাইরচক কিংবা সালুটিকরে নতুন শিল্পপার্ক স্থাপনে বেশি আগ্রহী বলে জানা গেছে।