বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল মাত্র ১২ হাজার ৩০০ টন। কারণ হিসেবে দেশে উৎপাদনের শক্তিশালী অবস্থা ও এশিয়ার বাজারে চাহিদা বৃদ্ধিকে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতি আশা করছে, চলতি মৌসুমের শেষে রপ্তানির পরিমাণ ৭০ হাজার টন অতিক্রম করবে। সবজি রপ্তানিকারকরা জানান, রপ্তানির এই উল্লম্ফন মূলত দেশে বাম্পার ফলন এবং স্থানীয় বাজারে উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় আলুর দামে উল্লেখযোগ্য পতনের কারণে হয়েছে। ‘রপ্তানিকারকরা রংপুর ও মুন্সিগঞ্জ থেকে গুণগত মানসম্পন্ন আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায় সংগ্রহ করছেন, যা গত বছর ছিল ৮০-৯০ টাকা।’ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, দেশে খুচরা বাজারে টেবিল আলুর দাম এখন প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকায় নেমে এসেছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। রপ্তানিকারকরা আরও বলেন, বিশ্ববাজারে চাহিদা বৃদ্ধি, আলুর নতুন জাত উদ্ভাবন ও পরিবহন খরচ সামান্য হ্রাস পাওয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। এ ছাড়া, আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে ভারত ও পাকিস্তান থেকে অনেক রপ্তানি আদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা স্থানীয় রপ্তানিকারকদের জন্য সুবিধা করেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বাজারে আলুর দামে ব্যাপক পতন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দিয়েছে। রপ্তানিকারক দেশগুলো চলতি বছর আলুর ব্যাপক চাহিদা অনুভব করছে। পরিবহন খরচ কমে গেছে, এখন আলু প্রতি টন ৩০০ ডলার দরে রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া, ডলারের উচ্চ বিনিময় হার রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মৌসুম শেষে অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার টন আলু রপ্তানি হবে। মালয়েশিয়ায় রপ্তানি আগামী এক মাস চলবে এবং নেপালে জুলাই পর্যন্ত চালু থাকবে। গত বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ‘সানশাইন’ জাতের আলু উৎপাদনকারী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কর্মকর্তারা বলেন, এই জাতটি আকর্ষণীয় আকৃতি ও রঙের কারণে রপ্তানি বাজারে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সঙ্গরোধ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, সরকার রপ্তানিকারকদের জন্য বিআরটিসি ট্রাকের ব্যবস্থা করেছে, যার ফলে পরিবহন খরচ ৪০ হাজার টাকা থেকে কমে ২৫ হাজার টাকায় নেমে এসেছে, যা রপ্তানিকারকদের জন্য অনেক সহায়ক হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুসারে, বাংলাদেশের আলু বর্তমানে ১৪টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যার মধ্যে মালয়েশিয়া প্রায় ৮০ শতাংশ। অন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ। রাশিয়া একসময় বড় বাজার ছিল, তবে সেখানে রপ্তানি কমে গেছে। ইপিবি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ আলু রপ্তানি ৩৩ মিলিয়ন ডলারে (১.০৬ লাখ টন) পৌঁছেছিল।
শিরোনাম
- মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
- দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে মহারণের জন্য দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার
- ক্লাব বিশ্বকাপ: নিষিদ্ধ হচ্ছেন ১৫ হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থক!
- মোহাম্মদপুরে পুলিশের সাড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৬
- সহায়তা পেতে সেনা ক্যাম্পের হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ
- শ্রীমঙ্গলে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা
- ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
- আরাকান আর্মির গুলিতে দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ, ৩ জেলেকে অপহরণ
- রোনালদোকে ছাড়াই আল নাসরের গোলের ইতিহাস
- মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে
- সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ
- প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল
- ট্রাম্পের বাণিজ্য বন্ধের হুমকিতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ভারত-পাকিস্তান
- পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান
- খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নাসিরনগরে দোয়া মাহফিল
- কুমিল্লায় সেবা মূল্য ৫ গুণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত
- ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো’ আগামী অক্টোবরে
- জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি
- গরমে ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটি
- বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল
আলু রপ্তানি বেড়েছে চার গুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর