আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)কে সাম্প্রদায়িক ইস্যু হিসেবে জাতিসংঘে উপস্থাপন করতে পারে পাকিস্তান। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লংঘনের বিষয়টিও জাতিসংঘে পেশ করতে পারে দেশটি। এমটাই ধারণা করছে ভারত। তবে এর পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এনআরসি ও কাশ্মীর ইস্যুর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, মুসলিমদের তাড়াতেই এনআরসি করেছে নয়াদিল্লি। ভারত এ দুটি ইস্যুতে জাতিসংঘে বিতর্ক করবে। এনআরসিতে ভারত সরকারের কিছু করার নেই এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী হচ্ছে-সেই বিষয়টি তুলে ধরবে নয়াদিল্লি।
সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তারা জোর দেবেন আসাম চুক্তির ওপর। ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আসাম সরকার, অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও অল আসাম গণসংগ্রাম পরিষদের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। ওই সময় বিদেশিবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই চুক্তি হয়। আর এনআরসির বিরুদ্ধে মুসলমানদের চেয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোই বেশি আন্দোলন করছে। তালিকায় ১৯ লাখ বাদ পড়েছে যাদের সবাই মুসলমান নয়, বেশিরভাগই হিন্দু। যারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি তারা রাষ্ট্রহীন কিংবা বিদেশি হবেন না এই নিশ্চয়তার কথাও জাতিসংঘকে জানাবে নয়াদিল্লি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়ার
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ