রাশিয়ার গ্যাস বন্ধের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কিছু দেশের জিডিপি ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ফলে বেশ কয়েকটি দেশ মন্দার শঙ্কাও করছে।
এ মুহূর্তে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ লাইন নর্ড স্ট্রিম-১ এর পাইপলাইনের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সে কারণে অনেক দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে হয়তো আবার গ্যাস সরবরাহ আগের মতো চালু হবে না। আইএমএফ বলছে, গ্যাস সংকটের এ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এ বিষয়ে ইউরোপের পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে।
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক রিপাবলিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়বে ইতালি, জার্মানি ও অস্ট্রিয়া।
এক ব্লগপোস্টে আইএমএফ বলেছে, নজিরবিহীনভাবে গ্যাস সরবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তা জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করবে। এমনিতেই এখন জ্বালানির উচ্চমূল্য অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অর্থনীতিবিদরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন, কিন্তু এ সংকটের প্রভাব কমাতে তাদের যথেষ্ট পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখতে পেয়েছি, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশে ৪০ শতাংশ গ্যাস সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ ৬ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে।
তবে এ প্রভাবের পরিমাণ কমানো যেতে পারে। সেজন্য জ্বালানি সরবরাহের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে হবে। অবকাঠামোগত যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো দূর করতে হবে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে অংশীদারত্বের মাত্রা বাড়াতে হবে।
আইএমএফ বলছে, গত বছরের জুন থেকে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমে যাওয়ার পর থেকে ইউরোপের জ্বালানি অবকাঠামো এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা এ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ক্রেমলিন যেভাবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে গ্যাস সরবরাহকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সেটি পরিস্থিতিকে জটিল করেছে, খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র: গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল