বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্রিটেনে ‘সাংবিধানিক সংকট’ জটিলতার মুখে ব্রেক্সিট

ব্রিটেন পার্লামেন্টের স্পিকার জন বার্কো নতুন করে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করায় সরকার বেকায়দায় পড়ল। স্পিকার বার্কো জানিয়েছেন, একই অধিবেশনে একই প্রস্তাব দ্বিতীয়বার পেশ করা নিয়মবিরোধী। ইইউ থেকে বিচ্ছেদের চুক্তির মধ্যে মৌলিক রদলবল করলে তবেই সেই চুক্তি অনুমোদনের জন্য পেশ করা সম্ভব। আগামী ২৯ মার্চ ব্রিটেন সত্যি ইইউ ত্যাগ করবে কিনা, সেই তারিখ পেছানো সম্ভব হবে কিনা অথবা গোটা প্রক্রিয়া আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে কিনা, সেসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ইইউ নেতারা সম্ভবত চলতি সপ্তাহে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে-র অবস্থান এতটাই দুর্বল হয়ে উঠছে যে, তার পক্ষে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার রাশ আর ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গতকালই তিনি তৃতীয়বারের জন্য সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্পিকার তা হতে দেননি। তিনি যে নিয়মের কথা বলেছে তা গত ১০০ বছরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কোনো স্পিকারকে এ নিয়ম প্রয়োগ করতে হয়নি।

এদিকে ইইউ চুক্তিতে কোনো রদবদল করতে প্রস্তুত নয়। ফলে শেষ মুহূর্তে কোনোরকম ছাড়েরও সম্ভাবনা নেই। সরকারের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, যে স্পিকার সম্ভবত দীর্ঘ বিলম্বের মাধ্যমে গোটা প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ পার্লামেন্টের হাতে তুলে দিতে চান। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এ পরিস্থিতিকে সাংবিধানিক সংকট হিসেবে তুলে ধরছেন।  ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির এ জটিলতার প্রেক্ষাপটে ইইউ নেতারা সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। ২১ ও ২২ মার্চ ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঠিক কী অনুরোধ করবেন, তার ওপর তাদের পদক্ষেপ নির্ভর করবে। ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করা সম্ভব না হলে তার পক্ষে কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া কঠিন হবে। ফলে এ সম্মেলনে ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউ নেতারা আদৌ কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন না, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তেরেসা মে আরও কয়েকটি দিন হাতে পেতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউ কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এমন অবস্থায় আগামী সপ্তাহে ইইউ নেতারা লিখিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্রেক্সিটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এএফপি

সর্বশেষ খবর