শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে কভিড কেড়ে নিয়েছে ১০ লাখ প্রাণ

যুক্তরাষ্ট্রে কভিড কেড়ে নিয়েছে ১০ লাখ প্রাণ

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতদের সমাধির সারি -সংগৃহীত

করোনা ও করোনা সংশ্লিষ্ট কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে। গতকাল এ কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। একে ‘হৃদয়বিদারক মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জো বাইডেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মৃত্যুই অপূরণীয় ক্ষতি। করোনায় এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মৃত্যু সংখ্যা প্রায় সোয়া ৫ লাখ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের সংরক্ষণ করা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার এ তথ্য প্রকাশ করে লিখেছে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যখন কভিড-১৯ এর প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল, তখন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, দুই বছরের মধ্যে কভিডে এত মৃত্যু তাদের দেখতে হবে। এর অর্থ হলো- যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৩২৭ জন নাগরিকের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে কভিডে। মৃত্যুর এ সংখ্যা স্যান ফ্র্যান্সিসকো বা সিয়াটলের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যখন কভিড-১৯ কে মহামারি ঘোষণা করল, তখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৬ জন।

পরের মাসগুলোতে মহামারি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে ঘন বসতিপূর্ণ নিউইয়র্ক সিটি বিপর্যস্ত হয়ে যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলেও পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ে। পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া এ মহামারিতে এ পর্যন্ত ৬৭ লাখ মানুষের মৃত্যুর তথ্য সরকারের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে, তবে এর প্রকৃত সংখ্যা দেড় কোটির কাছাকাছি বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পরিসংখ্যান-বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৫১ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৬ জন।

২০২০ সালের শেষভাগে কভিডের টিকা বাজারে আসার পর লাখ লাখ আমেরিকান টিকা নেন। তারপরও ২০২১ সালের প্রথমভাগেই ৫ লাখ মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়।

গবেষকদের হিসাবে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে এ মহামারিতে প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার শিশু বাবা-মায়ের কোনো একজনকে বা দুজনকেই হারিয়েছে।

তবে গবেষকরা এরইমধ্যে আরেক ডোজ টিকা দেওয়ার বিষয়ে কাজ করে চলেছেন, কারণ করোনাভাইরাসের রূপান্তর অব্যাহত আছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, ‘কোনো অর্থেই এটা শেষ হয়ে যায়নি। আমরা এখনো একটি বৈশ্বিক মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’ রয়টার্স লিখেছে, মহামারির তথ্য সংরক্ষণে একদম বৈজ্ঞানিক কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। আর এ মহামারিতে সত্যিকারের প্রাণহানির সংখ্যা হয়তো কখনোই জানা সম্ভব হবে না।

সর্বশেষ খবর