ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দেইর আল-বালাহে স্থল অভিযান ও বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী এর আগে শহরটিতে কোনো স্থল অভিযান চালায়নি বলে বিবিসি জানিয়েছে।
গাজার এই শহরটিতে ও এর আশপাশের এলাকাগুলো দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস ও রাফা থেকে আসা হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা এই এলাকায় তাদের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের লুকিয়ে রেখেছে বলে অনুমান ইসরায়েলি বাহিনীর। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিবিসিকে জানান, সোমবার ভোররাতে ব্যাপক গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলার ছত্রছায়ায় ইসরায়েলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলো শহরটিতে ঢুকে পড়ে অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী শহরটির ভিতরে প্রবেশ করার সময় আবু আল-আজিন ও হিকর আল-জামি আবাসিক এলাকায় কয়েক ডজন গোলা আঘাত হানে। ইসরায়েলি বাহিনী শহরটির ভিতরে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক গুলির শব্দ ও বিস্ফোরণে ঝলক দেখা যেতে থাকে। -বিবিসি
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, তাদের দপ্তরের ফিলিস্তিন অঞ্চল শাখার প্রধান জোনাথন হুইটল দেইর আল-বালাহে আছেন এবং ইসরায়েলের হামলা সত্ত্বেও সেখানে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রবিবার রাতে ফ্লেচার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লিখেছেন, ‘মাত্রই জোনাথন হুইটলের সঙ্গে কথা হলো। তিনি গাজার দেইর আল-বালাহে আছেন। সেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলা তীব্রতর হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘হুইটলকে আমাদের টিমের সদস্যরা ও যে বেসামরিকদের সাহায্য করার জন্য আমরা সেখানে থাকি তারা ঘিরে রেখেছেন।’ তিনি জাতিসংঘের এই মানবাধিকার বিষয়ক টিমটির ‘অসাধারণ সাহস ও একাগ্রতার’ প্রশংসা করেছেন।
রবিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ), দেইর আল-বালাহের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের ছয়টি আবাসিক ব্লক থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার আদেশ দেয়। তাদের দেওয়া আদেশে আইডিএফ বলে, লোকজনকে অবিলম্বে শহর ছেড়ে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী আল-মাওয়াসির দিকে চলে যেতে হবে। বাহিনীটির আরবিভাষী মুখপাত্র অভিচয় আদ্রাই বলেছেন, ‘ইসরায়েল দেইর আল-বালাহে তৎপরতা বিস্তৃত করছে। এবার এমন সব এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে আগে যেগুলোতে চালানো হয়নি।’