ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে-কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস নেতাদের মতে তাঁকে বিজেপি পদত্যাগে বাধ্য করেছে। তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গ্রহণ করেছেন। গতকাল পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হওয়ার পর রাজ্যসভার উপসভাপতি হরিবংশ সিং পরোহিত্য ঘোষণা করেন শিগগিরই নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ঘোষণা হবে। ভারতের নির্বাচন কমিশন এ ঘোষণা করে। উপরাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হন।
ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষের ভোটে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সে হিসেবে তাদের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট বার্তায় পদত্যাগী উপরাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য কামনা এবং তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগের পর তাঁকে বিদায়ি ভাষণ দিতে বলা হয়নি। এর আগে ভারতে যতজন উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেছেন তাঁরা সবাই রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য পদত্যাগ করেন।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানান, উপরাষ্ট্রপতির পদত্যাগের নেপথ্যে রহস্য রয়েছে। এর আগে সোমবার রাজ্যসভার কার্যক্রম স্থির করতে নেতাদের বৈঠক ডাকেন। সে সভায় বিরোধী দলের নেতাসহ দুই মন্ত্রী জে পি নাড্ডা ও কিরণ রিজেজু ছিলেন। বিষয় ছিল কাশ্মীরে জঙ্গি হানা নিয়ে বিতর্কের দিন স্থির করা। মন্ত্রীরা জানান তাঁরা পরে জানাবেন। ধনখড় ফের বিকালে বৈঠক ডাকেন। তখন মন্ত্রীরা আসেননি। তখন তিনি মঙ্গলবার বেলা ১টায় বৈঠকের সময় স্থির করেন। এরপর কী এমন ঘটে যে তিনি রাত ৯টায় রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দেন?
অন্য এক কংগ্রেস সংসদ সদস্য রেণুকা চৌধুরী বলেন, ‘বিজেপিতে কেউ পদত্যাগ করে না। করতে বলা হয়।’