রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকার ২৭ নম্বর সড়কে একটি বহুতল ভবন তৈরির সময় ছাদে বিশাল আকৃতির কয়েকটি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছিল। বিদ্যুৎ চলে গেলে ভবনের সিঁড়িতে আলো জ্বালানোর কাজে এই প্যানেলের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এক বছর পর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে ডেভেলপার কোম্পানি আর তা সংস্কার করার প্রয়োজন বোধ করেনি। ফলে এখন বিদ্যুৎ চলে গেলে ডিজেল পুড়িয়ে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। খরচ কমাতে জেনারেটর বন্ধও রাখা হচ্ছে। বাড়িটির কেয়ারটেকার মো. মিলনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘সোলার প্যানেলের ব্যাটারি ঠিক করতে যে অর্থ খরচ হবে, তা ব্যয় করতে কোম্পানির লোকজন রাজি নয়। তাই সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকার পরও ফ্ল্যাটটির বাসিন্দারা এর কোনো সুফল ভোগ করতে পারছেন না। বিদ্যুৎ সংযোগ পেতেই ডেভেলপার কোম্পানি ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছিল, কিন্তু এখন এটি চালু করতে তাদের কোনো গরজ নেই।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার অন্য এলাকায়ও সোলার প্যানেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কম-বেশি একই অবস্থা চলছে। দেখা গেছে এ কারণে ধানমন্ডি, বনশ্রী, মগবাজার, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার পুরনো বাসাবাড়িগুলোর ছাদে কোনো সৌর প্যানেল নেই। নতুন ভবনগুলোর ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করা হলেও এগুলোর বেশির ভাগই অচল। জানা গেছে, এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকদের সোলার প্যানেল ইনস্টলেশন বা স্থাপন করার নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে আবাসন ব্যবসায়ীরা নিয়মটি তুলে দেওয়ার চাপ দিলে বিদ্যুৎ বিভাগ তা একপর্যায়ে তুলে নেয়। ফলে এখন নগরীর বাড়িগুলোর ছাদে সোলার প্যানেল প্রদর্শন করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এর কোনো ব্যবহার নেই। এর আগে ছাদে সোলার প্যানেল বসাতে প্রতি গ্রাহককে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে হতো। কিন্তু এ নিয়ম আর না থাকায় বাড়ির মালিকদেরও এই পরিমাণ টাকা আর খরচ করতে হচ্ছে না। যা ঢাকায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের অনাগ্রহকেই স্পষ্ট করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শহরে মানুষ নতুন ভবন নির্মাণের সময় বিদ্যুতের মিটার ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্যই সোলার প্যানেল স্থাপন করেন। কিন্তু এর ব্যবহার তেমন একটা করেন না। তাই শহরে স্থাপিত সোলার প্যানেলগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধিতে আরও শক্তিশালী নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম খান এক জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, রাজধানীর লালমাটিয়ায় ২৪টি বাড়ির ওপর পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে সেখানে মাত্র সাতটি বাসার প্যানেল সচল আছে। বাকিগুলো কাজ করছে না। অনেক বাড়ির মালিক আবার সোলার প্যানেল ভাড়া নিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন, পরে তা আবার ফেরত দিয়েছেন। সূত্রমতে, সরকারি নীতিতেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি গ্রামাঞ্চল ও উপশহর এবং শহর এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শহরে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। গ্রামে সৌরবিদ্যুৎ জনপ্রিয় হলে শহরে কেন হবে না- তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
শিরোনাম
- গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্তরায় অতিদারিদ্র্য
- আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
- মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
- একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
- ঢাকার বাতাসে মাঝারি দূষণ, কলকাতার অবস্থা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- মুমিনের বিপদ-আপদ পাপমোচনে সহায়ক
- কষ্টার্জিত জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু পাকিস্তানের
- বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
- হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে আত্মসমর্পণ স্বামীর
- উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
- সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
- খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
- মেডিক্যাল শিক্ষকদের মূল বেতনের ৭০ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা
- বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
- বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- ঢাবিতে সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪০৩ জনকে শোকজ
সৌর প্যানেল ব্যবহারে অনাগ্রহী রাজধানীবাসী
জিন্নাতুন নূর
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়
প্লে স্টোরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং পেল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’
৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার