রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঝড়ে ফসল বাড়িঘরের ক্ষতির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া বুলবুলের আঘাতে উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনা, ফসল, গাছপালা ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় উপকূলীয় সাত জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে উপকূলীয় জনগণকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ২৫ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শাহাদাৎ  হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় ২৫ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নানা স্থাপনায় নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায়  জেলা-উপজেলা পর্যায়ে  দেশের ৫৬ হাজার  স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যথা সময়ে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সাত জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।  আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ২ হাজার প্যাকেট করে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। গতি আরও বাড়লেও যে প্রস্তুতি রয়েছে, তাতে ফসল ছাড়া বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা  নেই। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও জেলা উপজেলা সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী জরুরি ব্যবস্থা নিতে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত উপকূলের সব জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  কর্মস্থলে থাকতে হবে। বোর্ডের জনসংযোগ পরিদফতরের পরিচালক মুন্সী এনামুল হক বলেন, উপকূলীয় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম সচল রাখতেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় আমাদের অনেক বাঁধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা  নেওয়া যায়,  সেজন্য এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর