রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম উত্তর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

সভাপতি সালাম সম্পাদক আতাউর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম উত্তর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

গতকাল নগরীর লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলের দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়েছে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করেন উত্তেজিত কর্মীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে সম্মেলন আবার শুরু হয়। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। প্রথম অধিবেশনের পর বিকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে কড়া নিরাপত্তায় কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম সভাপতি এবং শেখ আতাউর রহমান আতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অধিবেশন শেষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভাপতি পদে এম এ সালাম পেয়েছেন ২২৩ ভোট এবং এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছেন ১২৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমান পেয়েছেন ১৯৬ ভোট এবং গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট। এর আগে প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সমঝোতা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটির মাধ্যমেই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এতে উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের বলেন, অতিথি পাখিদের স্থান আর হবে না আওয়ামী লীগে। ত্যাগী কর্মীদের নেতা বানানো হবে। সম্মেলন উদ্বোধনকালে আবেগতাড়িত হয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এক সময় যারা এই মঞ্চে আমার পাশে থাকতেন আজ কেউ পাশে নেই। একে একে সবাই চলে গেছেন। আমিও হয়তো আজ জীবনের শেষ সম্মেলন উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। সেই আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, আতাউর রহমান খান কায়সার, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী কেউ নেই। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নেই। বিএনপির আইনজীবীরা আদালতের এজলাসে যে তা-ব চালিয়েছে তা নজিরবিহীন। পৃথিবীর কোনো দেশে প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা মানুষ দেখেনি। আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে দেশ-বিদেশের সবাই প্রশংসা করছে। শুধু একটি দল প্রশংসা করতে পারছে না। উন্নয়নের পথে দেশের এই অভিযাত্রা তাদের কাছে গাত্রাঘাত মনে হয়।

সর্বশেষ খবর