বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বোকামির মাশুল কারাবাস

ম্যাগনেটিক পিলার ভেবে ঘরে রকেট লঞ্চার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সীমান্ত এলাকা থেকে ব্রিটিশ শাসনামলের ম্যাগনেটিক পিলার খুঁজে বের করতে পারলে বিক্রি করা যাবে শত কোটি টাকায়। এমন গল্প শুনিয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী দীঘিরপাড় গ্রামের শেখ সালেহ আহমদের ছেলে আলী হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে একটি প্রতারক চক্র। এ বিষয়ে আলী হোসেনের আগ্রহ তৈরি হলে চক্রটি তাকে ম্যাগনেটিক পিলারের নমুনা হিসেবে প্লাস্টিকের একটি বস্তু দেয়। নমুনা পেয়ে ম্যাগনেটিক পিলারের খোঁজে নামেন আলী হোসেন। এরই মাঝে তার এক আত্মীয় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে একটি ধাতব বস্তু খুঁজে পায়, যা দেখতে ওই প্রতারক চক্রের দেওয়া বস্তুর মতোই। আলী হোসেন শত কোটি টাকার লোভে ওই বস্তুটি কিছু টাকা দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে নেন। ম্যাগনেটিক পিলার ভেবে আলী হোসেন সেটি খুবই যত্নের সঙ্গে আগলে রাখেন। তবে ওই বস্তুটি ম্যাগনেটিক পিলার ছিল না, ছিল বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার। ঘরে বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার রাখার অভিযোগে সম্প্রতি র‌্যাব গ্রেফতার করে আলী হোসেনকে। এরপর থেকে কারাগারে দিন কাটছে তার। সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আলী হোসেনের স্ত্রী রেহানা বেগম এমন দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে রেহানা বেগম দাবি করেন, তার স্বামী নিরপরাধ। ম্যাগনেটিক পিলার সম্পর্কে তার স্বামীর কোনো ধারণাই ছিল না। রকেট লঞ্চার পাওয়ার পর ঘরে থাকা নমুনার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তিনি ওটাকে ম্যাগনেটিক পিলারই ভেবেছিলেন। এর মধ্যে একদিন দুজন লোক এসে এর দরদামও করে। বিস্ফোরক জানলে তারা নিজেদের বসবাসের ঘরে কখনই এটা রাখতেন না। রেহানা বেগম বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম তার স্বামী আলী হোসেন কারাগারে থাকায় শ্বশুরের চিকিৎসা, সন্তানদের পড়ালেখা কোনো কিছুই চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আলী হোসেনের মুক্তির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর