দুর্নীতি ও করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনাসহ ৯৬টি মামলায় জামিন পেয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। জামিন পাওয়ার পর বুধবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক সাহেদের বিরুদ্ধে ৯৬টি মামলা ছিল। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সবকটি মামলাতেই
জামিন পাওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর পর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়। কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়া ও অবৈধভাবে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেন একটি আদালত।