বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে সাতজনের চার বছর এবং তিনজনের দুই বছরের সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন। ফলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে সিআইডি অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার হয় রাফি নামে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী। ওইদিন শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করে সিআইডি। মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। পরে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২৪ জনের বিচার শুরু হয়।
