৫০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া পরিশোধ করার পর সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে ওই বকেয়া টাকা পরিশোধ করে। অ্যাপটির কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দিক নিয়ন্ত্রণ করত এ দুটি প্রতিষ্ঠান। গত ২৪ জুন বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপরই বকেয়া পরিশোধ করে সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সুরক্ষা ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ হাতে পেলেও এখনো ওয়েবসাইটের কাজ চালু করা হয়নি। খুব শিগগিরই এটা চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এখন কারও করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হলে সেটা অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এ সুবিধাটা সহজেই পাওয়া যেত। এ প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বকেয়া থাকার কারণে সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে ছিল না। চলতি অর্থবছরের বাজেটের পর তারা আমাদের পাওনা মিটিয়ে দিয়েছে। তাই অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কেউ টিকার জন্য নিবন্ধন করতে চাইলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, শ্বাসকষ্টসহ টিকা জটিলতাসংক্রান্ত কিছু তথ্য, আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা অনুসারে টিকা কেন্দ্র বাছাই করার সুযোগ দেওয়া হয়। ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড ভেরিফাই করে যে কোনো আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদনকারীর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট টিকা কেন্দ্রে পৌঁছে যায়। সেই টিকা কেন্দ্র নিজেদের টিকাদান করার ক্ষমতা অনুসারে ধারাবাহিকভাবে আবেদনকারীদের সময় ও বুথ নির্দিষ্ট করে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ পাঠিয়ে থাকে। নিবন্ধন-পরবর্তী যে কোনো সময় আবেদনকারী সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপ থেকে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দুটি ডোজ সম্পন্ন করার পর ভ্যাকসিন সনদও গ্রহণ করতে পারেন। নির্দিষ্ট দিনে আবেদনকারী টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে সেই তথ্য টিকাদান কেন্দ্র থেকে সার্ভারে আপডেট দেওয়া সম্ভব হয়। কোন টিকা, কত তারিখ দেওয়া হলো-থাকে সেসব তথ্যও। আবেদনকারীর টিকা কার্ডের তথ্য সঠিক কি না, তা সুরক্ষা অ্যাপ থেকেও যাচাই করা যায়।