ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কর্তব্যরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) ৫ হাজারের বেশি বডিওয়ার্ন ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলো বিএসএফ সদস্যদের শরীরে লাগানো থাকবে। মূলত সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর দৃশ্য এবং অপরাধীরা হামলা করলে তার প্রমাণ রেকর্ড করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিএসএফের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত বিএসএফ জওয়ানদের কাছে দুটি ধাপে প্রায় ৫ হাজার বডিওয়ার্ন ক্যামেরা পাঠানো হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলো নাইট-ভিশন অর্থাৎ রাতের বেলায় দেখতে সক্ষম এবং এগুলো একটানা প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে সক্ষম।
কর্মকর্তারা বলেন, মানব পাচার, অনুপ্রবেশ ঠেকানো ছাড়াও মাদক, গবাদি পশু এবং ভুয়া ভারতীয় মুদ্রা (এফআইসিএন) পাচারের মতো সীমান্তবর্তী অপরাধ বন্ধ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে মোকাবিলা করা এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর সময় যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ রেকর্ড করতে ক্যামেরাগুলো সহায়ক হবে। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তের কিছু নির্বাচিত সীমান্ত চৌকিতে (বিওপি) বায়োমেট্রিক যন্ত্রও বসানো হচ্ছে। এই যন্ত্রগুলোতে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিস স্ক্যান নেওয়া হবে। এই তথ্যগুলোই পরে ‘ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে’ (এফআরআরও) প্রদান করা হবে, যাতে যারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে, সেই সব অনুপ্রবেশকারী এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে একটি প্রমাণ-ভিত্তিক ডাটাবেস তৈরি করা যায়। উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।