গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল বেলা ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নুরুল হক নুর আগের তুলনায় এখন অনেকটাই ভালো আছেন। তার নাক ও চোয়ালের হাড়ে যে ভাঙা ছিল, তা পুরোপুরি সারতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল পরিচালক জানান, নুর বর্তমানে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন। তবে খাবার গ্রহণের সময় কিছুটা ব্যথা অনুভব করছেন। এ ছাড়া চোখে রক্তজমাট থাকলেও তা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যাবে বলে ধারণা চিকিৎসকদের। তিনি আরও বলেন, আঘাতের পর নাক থেকে যে রক্তক্ষরণ হয়েছিল, তার কিছু অংশ শ্বাসনালিতে গিয়েছিল। কাশির সঙ্গে সেই রক্ত বের হয়েছে, তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। এদিকে গতকাল সকালে নুরকে দেখতে হাসপাতালে যান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতা-কর্মীও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, নুর সুস্থ হয়ে ওঠার পর হামলার ঘটনায় মামলা করবেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অনেকে আহত হন। পরে নুরকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে রাতেই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।