প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে চলমান শাটডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন পেছানোর কারণে নেই ভোটের আমেজ। গতকাল সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য ড. ফরিদ খান বলেন, চলমান শাটডাউন ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। শিক্ষক লাঞ্ছনার তদন্তও চলমান। আসলে প্রশাসনের একার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। বিভিন্ন বডির সমন্বয়েই একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়। তবে আমরা আশাবাদী, সংকট কাটিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে পারব। এদিকে গতকাল শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিধিরা। এ ব্যাপারে অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাটডাউন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানে তারা কাজ করতে চান। আমরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছি। তবে দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি চলবে। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন, টুকিটাকি চত্বর ও পরিবহন মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা খুবই কম। আসন্ন রাকসু নির্বাচন পেছানোর কারণে প্রার্থীদের প্রচারণার মাঠেও দেখা যায়নি। এর আগে, গতকাল চলমান শাটডাউনের কারণে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির। তবে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রদল।