হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ‘যারা নির্যাতন ও দমনপীড়নের জন্য দায়ী, তাদের যথাযথভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। তবে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ এবং নিজের পছন্দের আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ শেখ হাসিনার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে সংস্থাটি এ মন্তব্য করে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হাসিনা সরকারের গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ সংস্থাটির ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘হাসিনার দমনপীড়নমূলক শাসনামলের ওপর বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ-হতাশা রয়েছে। এর পরও সব ফৌজদারি কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের সব মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য বিচারের মাধ্যমে হাসিনার প্রশাসনের অধীনে ভয়াবহ নির্যাতনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করা উচিত।’
অ্যামনেস্টির বিবৃতি : এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ের ভুক্তভোগীরা এর চেয়ে ভালো বিচারপ্রক্রিয়ার যোগ্য।’ সংস্থাটির মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সময় যেসব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, সেগুলোর দায়ীদের ন্যায়সংগতভাবে বিচারের আওতায় আনা জরুরি। ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার চান, অথচ মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আরও বাড়িয়ে দেয়।’