শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
আজ রবিবার সকাল ৮টায় ঢাকার জিরো পয়েন্টের শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সিপিবির পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক, ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এদেশের ছাত্র শ্রমিক জনতা বুকের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারকে উচ্ছেদ করার পরও নতুন করে স্বৈরাচার চেপে বসে। আজ থেকে ৩৪ বছর আগে স্বৈরাচারী এরশাদকে উচ্ছেদ করলেও গণতন্ত্র পুরোপুরি মুক্তি পায়নি। এরপর থেকে পালাক্রমে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা তিন জোটের রূপরেখা এবং আচরণ বিধি মানেনি। উপেক্ষা করে চলেছিল। দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরশাসন দেশবাসীর কাঁধে ভর করেছিল। ওই স্বৈরাচারকে উচ্ছেদ করে এবার আমরা স্বৈরাচার মুক্ত পরিবেশে নূর হোসেন ও টিটোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদ ছাড়া গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। তাই আজকের অঙ্গীকার হবে পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাচারী ব্যবস্থার উচ্ছেদের সংগ্রাম বেগবান করতে হবে। এ কাজটি করতে পারে নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি। যার যার দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ঐক্য গড়ে তুলে নীতি-নিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তির পতাকাতলে তাদের সমবেত করতে হবে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এবারের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়া। যে দাবিতে এদেশের বাম প্রগতিশীল শক্তি দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে চলেছে।
পুস্পস্তবক অর্পণের সময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, লূনা নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন খান, সংগঠক সাদেকুর রহমান শামীম, শ্রমিক নেতা আব্দুল কাদের, ক্ষেতমজুর নেতা মোতালেব হোসেন, কৃষক নেতা আলতাফ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা দীপক শীল, সাংস্কৃতিক সংগঠক রতন কুমার দাস, যুবনেতা জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, নুরুল ইসলাম গাজী, রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুস সাত্তার, ছাত্রনেতা মাহির শাহরিয়ার রেজা, বাহাউদ্দিন শুভ, শুভ চন্দ্র শীল সহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কার্যালয়ে শহীদ আমিনুল হুদা টিটোর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিপিবি নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিনিধি/জুনাইদ