জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। ১৪, ১৮, ২৪ সালে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ভোট কেন্দ্রে যাবার আগেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, পুলিশলীগ বলেছে আপনার ভোট হয়ে গেছে চলে যান। আমি সংসদ সদস্য ছিলাম, আমিও ভোট দিতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, এদেশে প্রথম গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে শেখ মুজিবুর রহমান। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেন তিনি। সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে পছন্দের মাত্র চারটি পত্রিকা চালু রাখলেন। পত্রিকা বন্ধ করাকে কি গণতন্ত্র বলে। গণতন্ত্রের কথা বলে যে সিড়ি বেয়ে তিনি ক্ষমতায় গেলেন, ক্ষমতায় গিয়ে তিনি সেই সিড়িটিই ফেলে দিলেন। আর নামতে পারলেন না। আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্র মানায় না।
আজ দুপুরে জেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজিত মানিকগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরোও বলেন, ষরযন্ত্রকারী দেশ ছেড়ে পালালেও ষরযন্ত্র থেমে নেই। তার ষরযন্ত্র চলছেই। তিনি গোপালগঞ্জবাসীকে বলেন যে কোন সময় টুপ করে দেশে ঢুকে পরবো। সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এই সতের বছরে শিক্ষা, বিচার বিভাগ, ব্যাংকসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জামায়াতের লোকদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, জেল দেওয়া হয়েছে। চারজন লোক বসে চা খাওয়ার সময় পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গিয়ে গায়েবী মামলা দিয়েছে। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আল্লাহ এই জুলুম থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছে।
জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরোও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, জেলা জামায়তের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম, জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার হোসাইন, ওলামা বিভাগের সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম খান, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা তছলিম উদ্দিন, সদর থানার সেক্রেটারি, পুলিশের গুলিতে নিহত স্বাদ ও রফিকের বাবাসহ জেলা ও উপজেলার কর্মীসমর্থকরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল