বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সহ্য করতে পারে না বলেই আয়নাঘর বানিয়ে গুম, খুন শুরু করেছিল। তারা কোনও মানুষকে সম্মান দিতে শিখেনি। খালেদা জিয়ার মতো একজন প্রবীণ মানুষকেও তারা জেলে রেখেছিল।
তিনি বলেন, শহীদ আবু সাঈদকে যখন গুলি করা হয়েছে। তার প্রত্যেক ফোটা রক্ত কথা বলছে। তখন যুবকরা রাস্তায় নেমেছে বলেছে বুকের ভিতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর। তার পথ ধরে রাস্তায় নেমেছিল লাখ লাখ তরুণ-তরুণী। ১০ মাসের শিশু নিয়ে মাও এসেছিল রাস্তায়।
মঙ্গলবার বিকালে রংপুরের মিঠাপুকুর কলেজ মাঠে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমীর বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মালিক বনে গিয়েছিল। আর দেশের মানুষকে অর্থাৎ আমাদের সবাইকে ভাড়াটিয়া মনে করছিল, যার কারণে হেফাজতে ইসলামের উপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড ও ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যার পর জামায়াতের উপর হাত দিয়েছিল। তাদের খুন, গুম ধর্ষণ, সীমা ছাড়িয়েছিল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগ ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে। বিচারের আসনে বসে তারা রাজনীতি চর্চা করেছে।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাঈদী সাহেবকে উদ্দেশ্য করেও এই কালা মানিক হুঙ্কার দিয়েছিল। শেষমেষ নিজে ভারত পালাতে গিয়ে ধরা পড়লেন। আমাদের কোনও দিদি বাড়ি নাই, মামা বাড়ি নাই। পালানোর প্রয়োজন নাই।
তিনি আরও বলেন, ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে, যা বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের ৫ গুণ। আমরা এমন এক দেশ চাই। যে দেশে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি থাকবে না। এই সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যেককে সম্মান করবে। যে দেশে আমার মায়েরা ইজ্জতের সাথে, নিরাপত্তার সাথে কর্মক্ষেত্রে কাজ করবে। আমরা জোর করে নারীকে বোরকা পড়াবো না। এ সমাজে অনেক অমুসলিমও আছে। মুসলমানদের মধ্যে যারা পর্দা করবে না তাদেরকে আমরা বুঝাবো।
জামায়াতে ইসলামী মিঠাপুকুর শাখার আমীর আসাদুজ্জামান শিমুলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর জেলা আমীর গোলাম রব্বানী, সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক।
পথসভায় মিঠাপুকুরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে জামায়াতে ইসলামী ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। এর আগে তিনি পীরগঞ্জে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ