স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, এখন দূর থেকে কেউ কিছু বললে এ দেশের জনগণ সেগুলো মেনে নেবে না। সমালোচনা করে তাদের গুরুত্ব বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধে নতুন প্রজন্ম শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আমির হোসেন আমু বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা যায় না। আর যারা এগুলো করার চেষ্টা করছে তাদের আসল পরিচয় চিহ্নিত করতে পারলেই আমরা বুঝতে পারবো তাদের গুরুত্ব দেবার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা? আসলে তারা জন্মলগ্ন থেকেই এ দেশেটাকে মেনে নিতে পারেনি।আজকে তারা যা করতে এটা অত্যান্ত সুপরিকল্পিত।
তিনি বলেন, বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করতে ব্যর্থ হয়ে তারা লংমার্চের কর্মসূচি দিযেছে। এটা আসলে তাদের রাজনীতি নতুন মেরুকরণের কৌশল। বিএনপিকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকতে তিস্তা নিয়ে কোনো কিছুই করেননি। আজকে যখন আওয়ামী লীগ তিস্তা নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলছে তখনই তারা লংমার্চ কর্মসূচি দিয়েছে। বাংলাদেশের যা কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্জন তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বেই হয়েছে বলেন দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারতের নির্বাচনের পরে নতুন সরকার আসলে তাদের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা করে তিস্তা সমস্যার সমাধান হবে।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, স্বাচিব মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত প্রমুখ।