বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ভদ্রা এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু বাহিনীর প্রধান ধলুসহ দুই দস্যু নিহত হয়েছেন। জীবীত অবস্থায আটক করা হয়েছে আরো ৬ দস্যুকে। উদ্ধার করা হয়েছে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ৫৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি।
বন্দুকযুদ্ধের সময় র্যাবের এক সদস্য গুলিবদ্ধি হয়েছেন। নিহত বাহিনী প্রধান ধলুর বাড়ি বাগেরহাটে রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া গ্রামে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের ভদ্রা ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন পশুর চ্যানেল এলাকায়। র্যাব-৮ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফরিদুল আলম বিকেল পাঁচটার দিকে মুঠোফোনে জানান, বনদস্যু ধলু বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এ তথ্যে ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার গুলজার হোসেনের নেতৃত্বে জেলের ছদ্মবেশে ১৭ সদস্যের র্যাব দল গতকাল রাত থেকে শরণখোলা রেঞ্জের ভদ্র এলাকায় অভিযান শুরু করে
আজ বিকেল তিনটায় পশুর চ্যানেলে মাছ ধরারত জেলেদের নৌকায় ছিল দস্যুদের চাঁদা আদায়ের নির্ধারিত সময়। আগে থেকে এ খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরাও জেলে বেশে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। নির্ধারিত সময়ে দস্যুরা চাঁদা নিতে এলে র্যাব তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এসময় দস্যুরা র্যাবকে লক্ষ্য করে এলাপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এসময় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে বাহিনী প্রধান ধলু ও অপর দস্যু বাচ্চু গুলিবদ্ধি হয়ে নদীতে পড়ে যায়। র্যাব সদস্যরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে দস্যুদের নৌকা ঘিরে ফেলে। ৬ দস্যুকে জীবীত আটক করা হয়। পরে নদী থেকে দুই দস্যুর মৃতদেহ ও নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ৫টি এক নলা ও ১টি দোনলা বন্দুক, ২টি পয়েন্ট টুটুবোর এবং ১টি সিক্স শুটার রাইফেল ও ৫৭৫ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলা এ বন্দুকযুদ্ধে উভয় পক্ষের মধ্যে ১৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এসময় দস্যুদের ছোঁড়া গুলিতে র্যাব সদস্য ফোরকান আলীর ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তবে আটক হওয়া ৬ দস্যুর নাম তাৎক্ষনিক ভাবে জানাতে পারেনি র্যাব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বনের ওই এলাকায় অভিযান চলছিল বলে র্যাব সূত্র জানিয়েছে।