প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের স্থল, সমুদ্র ও বিমানবন্দরগুলোতে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে বিশেষ ইমিগ্রেশন কাউন্টার, যেখানে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীর পরীক্ষা করা হচ্ছে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তিনটি শুল্ক স্টেশনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ দল। স্থল ও সমুদ্র বন্দরগুলোতে একই রকম কড়াকড়ি। হাসপাতালেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস এই কড়াকড়ি জারি থাকবে। জরুরি সতর্কতা কার্যক্রম পরিচালনায় গঠন করা হয়েছে বিশেষ টাস্কফোর্স ।
এদিকে পশ্চিম আফ্রিকার এই ভাইরাস সংক্রমিত দেশগুলোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদশেরে যে সদস্যরা কর্মরত আছেন তারা কেউ সংক্রমিত হননি বলে নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর ( আইএসপিআর )। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী এই বিষয়ে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছে বলেও জানায় তারা ।
এদিকে ইবোলা ভাইরাস নিয়ে সরকার দেশের সব স্থল ও নৌ বন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারির পর স্থল বন্দরগুলোতে শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। বন্দরগুলোতে কাজ করছে মেডিকেল টিম। ক্ষতিকারক ভাইরাস নেই, এটি নিশ্চিত হওয়ার পরই মিলছে দেশে ঢোকার অনুমতি।
কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ভাইরাস নেই, সেটি নিশ্চিত করতে বুড়িমারী স্থল বন্দরে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ইবোলা ভাইরাস নিয়ে সরকার সতর্কতা জারির দুদিন পর লালমনিরহাটের এই স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে কাজ শুরু করেছে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল দল।
বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরেও। সেখানেও চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
স্থানীয় হাসপাতালের কর্মীরা জানায়, এখানে ইবোলা ভাইরাস সনাক্ত হলেও আপাতত তাদের কিছু করার নেই। তবে মন্ত্রণালয় লোকবল ও ওষুধ পাঠালে কাজ করতে পারবেন তারা।
বিশেষভাবে সতর্ক যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষও। ইবোলা নিয়ে উদ্বেগ আছে স্থানীয়দের মধ্যে।