ফরিদপুর রূপালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের ভোল্ট থেকে খোয়া গেছে দেড় কোটি টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকের ৫ জনকে আটক করেছে। বর্তমানে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ রবিবার সকালে ব্যাংক খোলার পর টাকা খোয়া যাবার ঘটনাটি ধরা পড়ে।
ব্যাংকের এজিএম খন মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ রবিবার সকালে ব্যাংকে প্রবেশ করে ব্যাংকের ভোল্ট খোলা দেখতে পান এবং সেখানে বৃহস্পতিবার রাখা এক কেটি সাতান্ন লক্ষ টাকা নেই। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের প্রধান গেট এবং অন্যান্য গেট ও জানালা ছিল অক্ষত অবস্থায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে ফরিদপুর পুলিশ সুপার জামিল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক, কোতয়ালী থানার ওসি সৈয়দ মোহসিনুল হক এবং ডিবি ওসি সুনিল কর্মকার সকালেই ব্যাংকে গিয়ে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেন।
তদন্তের স্বার্থে পলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জিজ্ঞাসাবারে জন্য ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন: ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম, ফারুক, আনসার রফিক, আশিক ও লুৎফর।
ফরিদপুর রূপালি ব্যংকের প্রধান শাখা থেকে টাকা চুরির এবং আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতয়ালী থানার ওসি সৈয়দ মোহসিনুল হক জানায়, টাকা চুরির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও আটক হতে পারে। তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা হয় নাই।
ফরিদপুর শহরের ব্যস্ততম এলাকা মুজিব সড়কে অবস্থিত রূপালী ব্যাংকের টাকা খোয়া যাওয়ার শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, ব্যাংকের টাকা খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে ব্যাংকের অন্য কেউ কথা বলতে রাজী হয়নি।
সকাল থেকে ব্যাংকে কেউ ঢুকতে না পারায় গ্রাহকেরা চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। সকাল থেকেই ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন ছিল বন্ধ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা