১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের মরণোত্তর সম্মান জানাবে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে ভারতের আটটি স্থানে অনুষ্ঠান কর্মসূচী নেওয়া হবে। সেখানেই তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও করা হবে। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ছোত্তাখোলায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ.কে.এম.মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ''বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদান ভোলার নয়। মুক্তিযুদ্ধে যারা নিজেদের জীবন দিয়েছিল আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের (বাংলাদেশ) সরকার সেই সব বীর যোদ্ধাদের মরণোত্তর সম্মান জানাতে ভারতের আটটি বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিমূর্তি ও স্মৃতি স্মারক, শেখ হাসিনার অভিনন্দন পত্র প্রদান করার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা করা হবে। আমরা আমাদের এই সিদ্ধান্তের কথা ভারত সরকারকে জানিয়েছি এবং সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মধ্যে দিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।''
মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে আট সদস্যের এক প্রতিনিধি দল এদিন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছোত্তাখোলায় তৈরি করা মৈত্রী উদ্দান পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন ত্রিপুরার বিধায়ক সুধন দাস, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক মুনায়ম সরকার প্রমুখ। পার্কটি পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, ''স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে এই পার্ক ও মিউজিয়াম তৈরি করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।''
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম হল ছোট্টাখোলা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য এই গ্রামেই মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনী একটি শিবির করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ