বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুল কাদির। ১৭ এপ্রিল তাকে চট্টগ্রামের নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ওয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট স্টোর থেকে বিস্ফোরক ও জনবল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুল কাদির। স্বাধীনতাকামী বাঙালি অফিসারদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল তার।
বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে অবদান রাখতে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে তৎকালীন ওয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি হয়ে আসেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুল কাদির।
তার বড় ছেলে নাদীম কাদির বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট স্টোর থেকে বিস্ফোরক ও দক্ষ জনবল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে শুরু করেন আব্দুল কাদির।
একাত্তরের মার্চের প্রথম দিকেই কাদির নিজ বাসায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন বলেও জানান তার বড় ছেলে।
১৭ এপ্রিল বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাদির। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে তার কবর খুঁজে পওয়ার পর ২০১১ সালে তার মরদেহ নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুনঃসমাহিত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ