সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের পূণার্ঙ্গ কমিটিকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন করেছেন তারা। এ সময় পদবঞ্চিত ও পদন্নোতি না পাওয়া নেতাকর্মীরা অবিলম্বে নতুন কমিটি বিলুপ্ত করে ‘যোগ্যদের স্থান দিয়ে’ পুণরায় কমিটি দেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের পূণার্ঙ্গ কমিটির উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক বি এম লিপি আক্তার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে পরিচালনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে ২২ জন আগে কোনো পদে ছিলো না। অথচ তাদের পদ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ছোট পদ দেওয়া হয়েছে বা আমরা পদ পাইনি বলে আন্দোলন করছি না। এই কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, ছাত্রদল, মাদক মামলার আসামি, রাজাকারের সন্তানদের পদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল হাসান শুভ বলেন, ‘যারা শুরু থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেছে কমিটিতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। অনেক ত্যাগী কর্মীদের বঞ্চিত করে নিজেদের অনুগতদের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদের বোনদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা। বিতর্কিত এই কমিটি মানি না। অবিলম্বে কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণার জোর দাবি জানাই।’
মধুর ক্যান্টিনের মারামারিকে ‘সামান্য’ মন্তব্য করে দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শামসুন্নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী বলেন, ঘটনাটি কোন পর্যায়ে গেলে তারা এটাকে বিশাল আকারের ঘটনা বলবেন? আর কতটা লাঞ্চিত হলে আমরা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে বিবৃতি পাব যে, ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা লাঞ্চিত হয়েছেন। তাহলে কি আমরা মারা যাওয়ার পর প্রকাশ হবে, এটা একটা বড় ঘটনা ছিল। এমন ঘটনা আরও ঘটলে আর কোন বাবা-মা তাদের সন্তানদের ছাত্রলীগ করতে পাঠাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মারামারির ঘটনা তদন্তে কমিটি দিয়ে তাদের সাথে প্রহসন করা হয়েছে মন্তব্য করে তন্বী বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। আজ তার শেষ দিন। কিন্তু এখনো তারা আমাদের কারো সাথে কথাই বলেনি।
মানববন্ধনে পদবঞ্চিতরা ‘অছাত্রদের আদু ভাইদের কমিটি মানি না’, ‘চাকুরীজীবী ব্যবসায়ীদের কুটিল কমিটি মানি না’, ‘জামাত-শিবির ছাত্রদল অনুপ্রবেশকারীদের কমিটি মানি না’, ‘আমাদের বোনদের উপর হামলা কেন বিচার চাই বিচার চাই’, ‘অবৈধ কমিটি মানি না’, ‘ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কৃতদে কমিটি মানি না’, ‘বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগে অছাত্রদের স্থান নেই’, ইত্যাদি লেখা ফেস্টুন বহন করেন। এতে সদ্য সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেনসহ প্রায় অর্ধশত পদবঞ্চিত নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ মে, ২০১৯/মাহবুব