বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্রহীন অবস্থা বিরাজ করছে। জনগণের প্রতিনিধি নেই। সত্যিকার অর্থে যেদিন জনগণের প্রতিনিধির সরকার গঠিত হবে সেদিন গুম ও হত্যার বিচার অবশ্যই হবে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ইলিয়াস আলীর বাসায় এসেছি তার ছোট মেয়ে আমাদের সামনে আসেনি। কারণ সে অত্যন্ত বিব্রতবোধ করে ও কষ্ট পায়। আমার মনে আছে ৬ বছর আগে যখন এখানে এসেছিলাম-আপনারা সবাই দেখেছেন ফুটফুটে একটা বাচ্চা মেয়ে, প্রতিদিন বাবার জন্য অপেক্ষা করতো। কিন্তু তার বাবা ফিরেনি।
তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের পরামর্শে-দলের যারা গুমের শিকার হয়েছেন যথাসম্ভব তাদের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি ইলিয়াস আলীর বাসাসহ চারজনের বাসায় গিয়েছি। আমাদের অন্যান্য নেতারাও ঢাকা শহরে যারা ভুক্তভোগী রয়েছেন তাদের বাসায় যাচ্ছেন।
নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী, নিজামুদ্দিন মুন্না ও তারিকুল ইসলাম ঝন্টুর বাসা ছাড়াও রাজধানীর নাখালপাড়ায় সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায়ও যান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন, এসএম জাহাঙ্গীর, শায়রুল কবির খান, সাহাবুদ্দিন সাগর, আলী আকবর আলী, জুলহাস পারভেজ, মুনির হোসেন, আফাজউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বংশালে নিখোঁজ বিএনপি নেতা মো. সোহেল, জহিরুল ইসলাম জহির, পারভেজ হোসেন ও মো. চঞ্চলের বাড়িতে যান।
রাজধানীর সূত্রাপুরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা খালিদ হোসেন সোহেল, সেলিম রেজা পিন্টু, সম্রাট মোল্লার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান দলের সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আর স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান সবুজবাগে নিখোঁজ মাহবুব হাসান সুজন ও কাজী ফরহাদ হোসেনের বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল