নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া বা সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এর আগে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২১টি যৌথ টিম প্রতিদিন টহলের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। বর্তমানে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পাহাড়ি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়। একইসঙ্গে এজন্য ক্যাম্প এলাকায় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাঁটাতারের বেড়া বা সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়।
সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া। কমিটির সদস্য কর্ণেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, মো. মোতাহার হোসেন, মো. মহিববুর রহমান ও নাহিদ ইজাহার খান বৈঠকে অংশ নেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য হুমকি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ১২-১৭ বছরের শিশু রয়েছে প্রায় ৪ লাখ। এরা কোনো ধরনের শিক্ষা না পাওয়ায় ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। এরা সুযোগ পেলে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনও তাদের কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এসময় কমিটিকে জানানো হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী এর মধ্যে ৭টি পোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিয়ে আসছে।
এসময় বৈঠকে জানানো হয়, কমিটির আগের বৈঠকে রোহিঙ্গারা যেন ক্যাম্প এলাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য যৌথ টহলের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক থাকার সুপারিশ করা হয়েছিল।
সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে জানানো হয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরা হয়। বর্তমানে শান্তিরক্ষায় দায়িত্বপালনকারী জনবলের দিক থেকে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ৭টি দেশের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে ৫ হাজার ৮৫৬ জন সদস্য শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম