ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ইউ নোট দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। সেই নোটে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এই নির্বাচন কমিশনার সিইসি বরাবর দেওয়া একটি অনানুষ্ঠানিক পত্রে (ইউ নোট) এই অনুরোধ জানান। সূত্র জানিয়েছে, সিইসির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনারদেরও এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মীকে রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়- অনানুষ্ঠানিক পত্রে আহসান হাবিব বলেন, ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচনের আগের দিন (১৬ জুলাই) কয়েকজন সংবাদকর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে উপস্থিত ছিলেন। আনুমানিক দিবাগত রাত ৯টায় আকস্মিকভাবে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম সেখানে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি রিটার্নিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করেন- "একটা পত্রিকা হতে ১০/১২ জন সাংবাদিক অনুমতি পাবে কি না?" প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং অফিসার তাকে জানান যে- "কোনো মিডিয়া থেকেই একজনের বেশি অনুমতি দেওয়া হয়নি।" উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিটার্নিং অফিসারের সামনে তার অফিস কক্ষে উত্তেজিত হয়ে উচ্চস্বরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ভান্ডারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি শঙ্কর জীৎ সমাদ্দারকে উদ্দেশে করে বলেন- "তোমার এখানে কাজ কি? চলে যাও। আবার যদি তোমাকে এখানে বসে থাকতে দেখি তাহলে তোমাকে উপজেলা চত্বর থেকে বের করে দিবো।" এই কথা বলার সাথে সাথেই উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে শঙ্কর সমাদ্দার বের হয়ে যান এবং একই সাথে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন। আকস্মিক ঘটনায় রিটার্নিং অফিসার ও উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
চিঠিতে বলা হয়, রিটার্নিং অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের সভা চলাকালীন হঠাৎ ভান্ডারিয়ার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সভা কক্ষে প্রবেশ করে উপস্থিত একজন সংবাদকর্মীকে এভাবে হুমকি প্রদান বা অসৌজন্যমূলক আচরণ জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে মোটেও কাম্য নয়।একজন জনপ্রতিনিধির এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মাননীয় কমিশনের জন্যও বিব্রতকর। তাই তিনি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ