বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ ব্যাংক, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। গত সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারকরা হলো- লিংকন ওরফে মাসুদ ওরফে প্রশান্ত কুমার সাহা, হাসান জিয়া, শাকির আলী শাকিল, জান্নাতুল ফেরদাউস রাসেল, সেলিম সরদার, শেখ জাকির হোসেন, আবদুল কাদের শরীফ, হুমায়ূন কবীর, খলিলুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, রাকিবুল ইসলাম ওরফে সম্রাট, আবুল হোসেন ওরফে সাইমুন, কেরামত হোসেন, রুবেল বিশ্বাস, কামরুজ্জামান ও সাইফুল ইসলাম।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতার হওয়া এই চক্রের সদস্যরা সংঘবদ্ধভাবে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল। গত আট বছরে প্রায় ১৬০ জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

টার্গেট ব্যক্তিকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার জন্য এই চক্রের সদস্যরা পাঁচটি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করত। এই চক্রের কাছে প্রতারিত হয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবক র‌্যাব-৪ এ অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের অনুসন্ধান করতে এই চক্রের সন্ধান পায় র‌্যাব।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান, পত্রিকায় কোনো সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরই প্রতারকদের তৎপরতা শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করে তাদের প্রমোটর টিম, যাদের দায়িত্ব চাকরি প্রার্থী সংগ্রহ করা। এই গ্রুপের সদস্যরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে। তাদের লক্ষ্য থাকে দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষিত বেকারদের টার্গেট করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রলোভন দেখানো। তারা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে সিভি, শিক্ষাগত যোগ্যতার ফটোকপি, জন্মসনদ, নাগরিকত্বের সনদ ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংগ্রহ করে। 

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, চাকরিপ্রত্যাশীদের মনে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে সেনানিবাসের আশপাশের এলাকায় সুবিধাজনক স্থানে ডেকে প্রার্থীর নাম-ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ চাকরি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্ন করে ভুয়া মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। একই রকম পদ্ধতিতে তারা ভূমি অফিস, রেলওয়ে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে সচিবালয়ের আশপাশে সুবিধাজনক জায়গায় ডেকে পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে।

পরে তারা চাকরিপ্রত্যাশীদের মৌখিক ও মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ নিয়োগপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং নিয়োগপত্র প্রদান করে। এ সময় চাকরিতে যোগদানের তারিখ এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরুর তারিখও উল্লেখ করে দেয় তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর