বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির নেতারা। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে নিরাপত্তা ও পোশাকশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ সদস্যদের বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে বুধবার বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত অনভিপ্রেত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালকসহ পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।
বৈঠকে নেতারা বলেন, মতের ভিন্নতা থাকলেও ব্যবসায়িক সংগঠনে প্রচলিত নিয়মের বাইরে অশোভনীয়ভাবে সংস্কার দাবি কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিজিএমইএতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে শিল্প ও বিজিএমইএ বিষয়ে নিঃসন্দেহে নেতিবাচক বার্তা যাবে; যা এ শিল্পের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হওয়ার আগেই কীভাবে কারখানা ভাঙচুরের ঝুঁকি নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কারখানার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায়, সে ব্যাপারেও তারা মতবিনিময় করেন। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিস্থিতি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিল্পের পণ্যবাহী যানবাহনের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে ব্যাংকে তারল্যের সংকট হওয়ায় সময় অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে উদ্যোক্তাদের কীভাবে বেগ পেতে হচ্ছে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা এবং প্রশাসনের যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রুহের মাগফিরাত করা হয়। এ ছাড়া যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য লাভ করাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।