জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ৪ আগস্ট যখন ফরহাদ গুলিবিদ্ধ হন, তখন এই সংবাদ শুনে আমার আম্মা অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁর হৃদরোগের সমস্যা ছিল। ফরহাদ ৪ আগস্ট আন্দোলনে গিয়েছিল। শুধু আমাদের পরিবার নয়, প্রতিটি শহীদ পরিবারের অবস্থাই একই রকম। জুলাই অভ্যুত্থান যেমন বেদনার, তেমনি গর্বেরও। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া। গতকাল দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ফরহাদের স্মৃতিচারণ করে তাঁর ভাই গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ফরহাদ আমাদের পরিবারে সবচেয়ে ছোট ছিল। কিন্তু ও ছিল সবচেয়ে দায়িত্ববান। আমার বাবা-মাকে সে সবচেয়ে বেশি সান্ত্বনা দিত। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোযুক্ত টি-শার্ট নিয়ে আসতাম। সব টি-শার্ট ও নিয়ে নিত। কিন্তু এখন আর টি-শার্ট নেওয়ার কথা কেউ বলে না।
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অনেক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে এই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হয়েছে। এই নতুন বাংলাদেশে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।