১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের পেছনের পৃষ্ঠায় ‘মনিরুলের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ ও শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল এবং এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামের শ্যালক রেজাউল আলম শাহীনের নাম উল্লেখ ছিল। সংবাদটিতে তথ্যগত ভুল উল্লেখ করে কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ, শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল ও রেজাউল আলম শাহীন পৃথক পৃথক প্রতিবাদ এবং স্ব স্ব বক্তব্য প্রদান করেছেন। এনজিও দুটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এ দুটি প্রতিষ্ঠান সরকারের এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত। বাংলাদেশে মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল নির্মাণে প্রতিষ্ঠান দুটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তা ছাড়া আর্থসামাজিক উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোহিঙ্গা সহায়তা কর্মসূচিতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠান দুটির সব আর্থিক লেনদেন এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন সাপেক্ষে হয়ে থাকে এবং প্রতিটি প্রকল্প শেষে অডিট সম্পন্ন করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলামের সম্পর্ক নেই। বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান দুটির কোনো অর্থ কারও পক্ষেই হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
অপর এক প্রতিবাদে মনিরুলের শ্যালক রেজাউল আলম শাহীন উল্লেখ করেন যে, কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ ও শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক। তিনি এ দুুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। এনজিও দুটির বিভিন্ন প্রকল্প তার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে। সেকারণেই তার হিসাব নম্বরে টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যবসায়িক লভ্যাংশের টাকা তিনি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকে এফডিআর করেছেন। এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম তার নিকটাত্মীয়। তবে তার পরিচয় ব্যবহার করে তিনি কোনো ব্যবসায়িক ফায়দা গ্রহণ করেননি বলে শাহীন জানান। বিজ্ঞপ্তি