শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৪৮, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

ভেঙে পড়ছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো

ফারাজী আজমল হোসেন
অনলাইন ভার্সন
ভেঙে পড়ছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো

দুই বছর আগে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় সারাবিশ্ব থমকে দাঁড়ায়। এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটক নির্ভর দেশগুলো। এই তালিকায় প্রথমেই আসে শ্রীলঙ্কার নাম। পর্যটন ব্যবসা স্ফীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির শ্রম নির্ভর শিল্পগুলো চড়া মজুরি দাবির কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ফলে পর্যটন শিল্প দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একমাত্র উৎসে পরিণত হয়। এর উপর কৃষিতে কৃত্রিম সার ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় খাদ্য উৎপাদনে ধ্বস নামে। ততদিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সুনামির মত টান পড়েছে। ফলে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে। শ্রীলঙ্কার জনগণ অবশ্য ওই পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদ ও তাদের স্বজনদের সীমাহীন দুর্নীতিকে দায়ী করে।

করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এর প্রভাবে শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়াতে গিয়েও থমকে গেছে। ইতিমধ্যে পর্যটক আনাগোনা শুরু হলেও বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে দেউলিয়াত্ব থেকে সহসাই মুক্তি পাচ্ছে না দেশটি। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার পর সারাবিশ্বের মিডিয়ার শীর্ষ খবরে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু যে দেশটির অবস্থা এখন শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়াবহ তারা প্রচারের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। দীর্ঘ ২৪ বছর বাঙালির রক্ত চুষে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল সাবেক পশ্চিম পাকিস্তান, বর্তমানে পাকিস্তান। এরপর গড়িয়ে গেছে ৫০ বছরেরও বেশি সময়। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের অবস্থা হাড্ডিসার কঙ্কালের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বিদেশি রিজার্ভের পরিমাণ বর্তমানে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে সৌদি আরব। তবে এ অর্থ ব্যবহার করা যাবে না। ফলে তাদের রিজার্ভ মূলত ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ দিয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের অতি জরুরি পণ্য আমদানি করতে পারবে তারা। তাদের এই চরম সংকটময় সময়ে পাশে নেই কেউ। কারণ ইতিমধ্যে তাদের ঋণের পরিমাণ ঝুঁকির মাত্রা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতি পাকিস্তানির ঋণের পরিমাণ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা, যা বাংলাদেশের ৪ গুণ। বাস্তবে হেনরি কিসিঞ্জারের ঐতিহাসিক ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ মতবাদের নজীরে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। সেদিন অবশ্য বিদ্বেষবশত, বাংলাদেশের নামের সঙ্গে তিনি এই অপবাদটি জুড়ে দিয়েছিলেন।

অতীতে নেয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। এ কারণে আর কেউ ঋণ দিতে চাচ্ছে না। সর্বশেষ আইএমএফ পাকিস্তানকে দেয়া ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে। তারা এই ঋণ এখন বাংলাদেশকে দিচ্ছে। ফলে তাদের সামনে হাহাকার ছাড়া আর কিছু নেই। আজ তারা একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের কাছ থেকে সাহায্য লাভ। তবে একাত্তরে বাংলাদেশে তারা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল তা ক্ষমার যোগ্য নয়। তারা ৩০ লাখ লোককে হত্যা, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ এবং গোটা দেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিল। এখন মনে হয় প্রকৃতির বিচার শুরু হয়েছে। দেশটিতে রোজই অনাহারে লোক মারা যাচ্ছে। তাই বলা যায় অচিরেই শ্রীলঙ্কার মত পাকিস্তানের মন্ত্রী, আমলারা জনরোষ থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হতে পারেন।

দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। খাদ্যমূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কাঁচামালের অভাবে ছোট বড় হাজার হাজার শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় গত বছরের ভয়াবহ বন্যা। ওই বন্যায় পাকিস্তানের প্রধান অর্থকরী ফসল তুলা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে কঁচামালের অভাবে হাজার হাজার ছোট বড় বস্ত্রকল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ৭০ লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রধান দুর্বলতা অনুৎপাদন খাতে ব্যয়। দেশটির সিংহভাগ অর্থ ব্যয় হয় সশস্ত্র বাহিনীর পিছনে। জন্মলগ্ন থেকে সশস্ত্র বাহিনী দেশটির বুকে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। শুধু প্রতিরক্ষা নয়, দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার রক্ষকও তারা। সেই সঙ্গে দেশটির গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে তাদের।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আজ সারা বিশ্বে একটি আতঙ্কের নাম। কারণ তারা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও গডফাদার। তারা বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তান ও ভারতে প্রশিক্ষিত জঙ্গি পাঠিয়েছে নাশকতা চালাতে। এখন সেই জঙ্গিরাই পাকিস্তানের ওপর মরণ ছোবল মারছে। পাকিস্তানের সবচয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা ‘ডন’-এর মতে সেনাবাহিনীর কারণেই জঙ্গিগোষ্ঠী পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইসলামাবাদের পদার্থবিদ পারভেজ তার সাম্প্রতিক কলামে ‘টিটিপি কেন অপরাজেয়’ এই শিরোনামে পাকিস্তানে জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের জন্য সেনাবাহিনীর কড়া সমালোচনা করেন। তার মতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, পুলিশ এবং সাধারণ নাগরিকদের উপর টিটিপি প্রাণঘাতী হামলা বাড়িয়ে দিলেও পাকিস্তানের নিরাপত্তার ভারপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা সেটা ধামাচাপা দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। সেইসঙ্গে জঙ্গি মদদের বিষয়টিরও উল্লেখ করেছেন।

ডনের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ দিনে ১০০ টিরও বেশি হামলা হয়েছে পাকিস্তানে। বান্নুরে জঙ্গিবাদ বিরোধী কার্যালয়েও টিটিপি হামলা চালিয়েছে।  পাকিস্তানি পত্রিকাটির মতে, পারমাণবিক অস্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রে সজ্জিত ৬ লক্ষ যোদ্ধায় সমৃদ্ধ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সীমান্ত সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি সেনার কঠোর পেশাদারিত্ব এবং অপ্রচলিত যুদ্ধের অভিজ্ঞতাও জঙ্গিবাদকে পরাস্ত করতে সক্ষম। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানি সেনা অভ্যন্তরীন নিরাপত্তায় চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই এমনটা ঘটছে বলে ধারণা করা হয়। এটাই পাকিস্তানের শত্রুদের সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও পদার্থবিদ পারভেজ মনে করেন। তার মতে, আফগান তালেবানকে ক্ষমতায় ফিরতে সাহায্য করাও ছিল পাকিস্তানের বিশাল কৌশলগত ভুল। তিনি লেখেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপকরা আমাদের ভুল বোঝাতে রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র ব্যবহার করে এসেছেন। তারা বুঝিয়েছিলেন, আফগান এবং পাকিস্তানি তালেবানরা নাকি আলাদা। এখন সেই বিভ্রম বিপদ বাড়াচ্ছে।’

জঙ্গিবাদীদের মদদ জুগিয়ে পাকিস্তান শুধু নিজেদের শত্রুই বাড়িয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছে পত্রিকাটি। এদিকে কাবুলের নতুন শাসকরা প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সমালোচনা শুরু করেছে। আফগানিস্তানের মাটিতে টিটিপির ঘাঁটিতে পাকিস্তানের স্থল বা বিমান হানারও তারা বিরোধী। জঙ্গিবাদীদের মদদ জুগিয়ে পাকিস্তান যে নিজেদের সর্বনাশ নিজেরাই ডেকে এনেছে সেকথাও উঠে এসেছে তাদের দেশের পত্রিকাতেই। ডনের মতে, সেনা কর্মকর্তাদের কৌশলগত ভুল সাধারণ নাগরিকদের বিপদে ফেলেছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, মুসলিম খান বা তার আগে এহসানুল্লাহ এহসানের মতো টিটিপির শীর্ষ বন্দুকবাজকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল কেন? পারভেজের মতে, জঙ্গিবাদীদের সাথে আলোচনার বা তাদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘটনা জঙ্গিবাদীদেরই উৎসাহিত করেছে।

টিটিপি কোনো সময় অস্ত্র সংবরণ বা পাকিস্তানের সংবিধানকে সম্মান করতে রাজি হয়নি। পারভেজ তার কলামে বলেছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপকদের কট্টর টিটিপি-বিরোধী পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন (পিটিএম) নেতাদের সাথে আলোচনা করতে না বসাটাও বিরাট ভুল ছিল। পাখতুনরা কখনও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র না তুললেও তাদের হয়রানি করতে কার্পণ্য করেনি পাকিস্তানি সেনারা। পাখতুন পার্লামেন্টারিয়ান আলী ওয়াজিরকে কারাগারে বন্দী করে পর্যন্ত রাখা হয়েছে। সোয়াতের সামরিক কর্তৃপক্ষ টিটিপি জঙ্গিদের একটি স্কুল ভ্যানে গুলি চালানোর প্রতিবাদ করা নাগরিকদের শাস্তি দিয়েছে। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালে মাওলানা ফজলুল্লাহর দোসরদের সাথে লড়াই করতে গিয়ে সেনাবাহিনী যে শত শত সেনাকে হারিয়েছিল সেটাও ভুলে গেছে পাকিস্তান। কাবুল আজও টিটিপিকে মদদ দিচ্ছে। তাই ডন প্রশ্ন তুলেছে, ২০২১-এর আগের ভালো-তালেবান, আর এখনকার খারাপ তালেবানের চিন্তাধারা কি এখনও চলে? পারভেজের প্রশ্ন, আমেরিকানরা চলে গেছে। ভারতকে আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাহলে এখন কাবুল বন্ধু, না শত্রু? শীর্ষ সেনাকর্তাদের সঙ্গে সাধারণ সেনাকর্মীদের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এক সময়ে সেনা কর্মকর্তারাই জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে বেশি সখ্যতা রাখতেন। এই সেই জঙ্গিবাদীদের হাতে সাধারণ সিপাহীরাই মরছেন। তাই সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

জঙ্গিবাদের মদদদাতা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীই আজ জঙ্গিবাদীদের নিশানায় পরিণত হচ্ছে। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে একাধিক জঙ্গিবাদী হামলার ঘটনাও। ডনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সানে সেনাবাহিনী দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই এলাকাটি ৯/১১-এর পর আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা তালেবান এবং আল-কায়েদার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। যুদ্ধ দ্রুত উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ এই সেনাই এক সময় জঙ্গিবাদীদের মদদ জোগাতো। সেই সময়ে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা নিরাপদে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গিয়ে দাবি করেছিলেন, শতাধিক বিদেশি জঙ্গিবাদী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তাদের পলায়নে অবাক হয়েছিলেন সাধারণ সিপাহীরা। কারণ এক সময়ে তালেবান বা অন্যান্য ইসলামিক জঙ্গিবাদীকে মদদ জুগিয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তরাই। তারাই যখন আত্মসমর্পণ বা লড়াইয়ের কথা বলছিলেন তখন সাধারণ সিপাহীদের অবাক হওয়ার তথ্যও ডনে প্রকাশিত হয়। উর্দু প্রেসকে উদ্ধৃত করে ডন আরও জানিয়েছে, ওয়াজিরিস্তান এবং সোয়াতের স্থানীয় আলেমরা সেই সময়ে নিহত সৈন্যদের জানাজা পড়তে অস্বীকার করেছিল। ২০১২ সালে বান্নু কারাগারে দুঃসাহসিক হামলা চালিয়ে ৩৮৪ জন জঙ্গিবাদীকে উদ্ধারের ঘটনাও উল্লেখ করেছে ডন। পাকিস্তানি পত্রিকাটি স্বীকার করে, কারারক্ষীরা পাশে দাঁড়িয়ে তালেবান হামলাকারীদের সমর্থনে এবং শরীয়া আরোপ করার জন্য স্লোগান দিয়েছিল সেদিন।

ডনের মতে, শুধু অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না; যুদ্ধ জয়ে সৎ সাহস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অফিসারদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তারা নাকি আর্থিক বিষয়টি যতো ভালো বোঝেন ততোটা যুদ্ধ করার বিষয়ে আগ্রহী নন। অন্ধ ভারত বিরোধিতা পাকিস্তানি অফিসারদের আরও দুর্বল করে তুলেছে। তাই বাড়ছে জঙ্গিবাদী হামলার সংখ্যা। পাকিস্তান নিজেই আজ হয়ে উঠেছে জঙ্গিবাদীদের নিশানা। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংগঠিত চার-চারটি যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে ১৮ হাজার সেনা। এই তথ্য উল্লেখ করে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০০২ সাল থকে ২০১৪ সালের মধ্যে জঙ্গিবাদের কারণে পাকিস্তানে প্রাণ হারান ৭০ হাজারেরও বেশি নাগরিক। এখনও চলছে জঙ্গিবাদীদের হামলা। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তাদের বড় অংশ তবু জঙ্গিবাদীদের মদদ জুগিয়ে চলেছে। আল-কায়দার পাশাপাশি আফগানিস্তানে তালেবানদের মদদ জোগানো যে ভুল কৌশল ছিল সেটা পাকিস্তানি গণমাধ্যমেই বলা হয়েছে। এতকাল তালেবানদের মদদ জোগানোর পর এখন কেন টিটিপিকে পাকিস্তানি সেনারা ধংস করতে চায় সে প্রশ্নও উঠছে। পারভেজের মতে, বিভ্রান্ত সেনাবাহিনী কখনই টিটিপির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না। কারণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আদর্শগতভাবে বিভ্রান্ত। আর আদর্শগতভাবে বিভ্রান্ত বাহিনী কখনও যুদ্ধ জয়ী হতে পারে না। কিছুদিন আগেও তারা তালেবানদের মদদ জুগিয়েছিল ক্ষমতায় ফেরার জন্য। এখন তাদের সঙ্গে শত্রুতার মূল্য দিতে হবে ইসলামাবাদকে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সাধারণ সিপাহীদের মধ্যে বিভাজন রেখাও স্পষ্ট হচ্ছে। পারভেজ তার লেখায় সেই বিভাজনের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। ধর্মীয় ও আদর্শগত যুক্তি দেখিয়ে জঙ্গিবাদীদের এক সময় সার্বিক সহযোগিতার কথা বলা সেনা কর্মকর্তারাই এখন সেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরতে বলায় সিপাহীরা ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আরও দুর্বল করে তুলছে বলেও আশঙ্কা ডনের। নিজের কলামে পারভেজ জঙ্গিবাদকে মদদ জোগাতে গিয়ে সেনাকর্তারা যে দেশের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন সেটা বোঝাতেও ভুল করেননি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে- পাকিস্তানের পরিণতি কী হবে। পাকিস্তান অতীতে চীন ও আমেরিকার ভাড়াটিয়া বাহিনী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা পূরণে রুশ বাহিনীকে আফগানিস্তান থেকে হটাতে আফগানদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়েছে। পরবর্তীতে ওইসব জঙ্গির বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকার সহায়ক বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। একদিন যাদের লালন-পালন করেছে আবার তাদের দমনে তৎপর হয়েছে। আমেরিকাকে খুশি করতে আফগান জঙ্গিদের দমনে নতুন করে জঙ্গি তৈরি করেছে, তাদেরকে নিজ দেশে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সুযোগ বুঝে তারাই আবার পাকিস্তানী ভূখন্ড দখলে বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংগে যোগ দিয়েছে। পাকিস্তানে অনেক আগে থেকেই ইসলামী জঙ্গিবাদিরা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। তারা দেশটিতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত, সংখ্যায়ও ভারি। নিজের হাতে গড়া এসব জঙ্গির সংগে পাকিস্তান সরকার বিশেষ করে সেনাবাহিনী আপোষ করে চলে। এরপরও সন্ত্রাসবাদীরা প্রায়ই হামলা চালায়। এর সংগে রয়েছে সাতচল্লিশে দেশ ভাগের পর থেকে চলে আসা বেলুচিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম। চারদিক সামলাতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী চোখে সর্ষের ফুল দেখছে। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতি খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছে। একে উদ্ধার করার মত বান্ধব আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধু চীন এমন বিপদের দিনে সাহায্য দেয়াতো দূরের কথা উল্টো পাওনা ঋণ ফেরত চাইছে।

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এ কারণে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দেশটির সঙ্গ ত্যাগ করা মুশকিল। পাকিস্তানের কাছে শতাধিক পারমাণবিক বোমা রয়েছে। বোতাম টিপলেই সেগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে সমগ্র এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে সক্ষম। ক্ষুধার তাড়নায় পাকিস্তান যদি এসব পারমাণবিক বোমা প্রতিবেশি ইরান কিংবা উত্তর কোরিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয় তাহলে নিশ্চিত যুক্তরাষ্ট্রের ঘুম হারাম হবে। এটা পাকিস্তান ভালোভাবে জানে। এই জুজুর ভয় দেখিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এতদিন অনেক সুবিধা আদায় করেছে। বহু ঋণ মওকুফ করিয়ে নিয়েছে এবং অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এসব এখন অতীত। পাকিস্তানকে তাদের আর দরকার নেই। তারা এই উপমহাদেশে নতুন মিত্র খুঁজে পেয়েছে। তারা পাকিস্তানের চির বৈরি দেশ ভারতকে বন্ধু হিসবে গ্রহণ করেছে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন মাথ চাড়া দিয়ে উঠেছে। একদিকে ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ, অপরদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের মুখে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা। এই অবস্থায় পাকিস্তান কয়েক টুকরোয় পরিণত হলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
আগামীর রাষ্ট্রনায়কের প্রতি তারুণ্যের আস্থা
আগামীর রাষ্ট্রনায়কের প্রতি তারুণ্যের আস্থা
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
ক্লিকের যুগে প্রিন্ট মিডিয়ার টিকে থাকার লড়াই
ক্লিকের যুগে প্রিন্ট মিডিয়ার টিকে থাকার লড়াই
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
মনুষ্যত্বহীনতার ঘৃণা গড়ে ওঠেনি সংবিতে
মনুষ্যত্বহীনতার ঘৃণা গড়ে ওঠেনি সংবিতে
আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর
আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর
মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়
মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়
সর্বশেষ খবর
আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?
আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজ ৩৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ৩৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক শুরু
দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক শুরু

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ক্যারিবীয়দের
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ক্যারিবীয়দের

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাময়িক বন্ধের পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল চলাচল
সাময়িক বন্ধের পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল চলাচল

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেন রিজার্ভে হাজার-হাজার টন স্বর্ণ রাখে?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেন রিজার্ভে হাজার-হাজার টন স্বর্ণ রাখে?

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি?
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি?

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আমাদের সময় নিয়ে খেলার অভ্যাস গড়তে হবে : লিটন
আমাদের সময় নিয়ে খেলার অভ্যাস গড়তে হবে : লিটন

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ
বাংলাদেশের রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া?
আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া?

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দীর্ঘ ৯ মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলছে সেন্ট মার্টিন
দীর্ঘ ৯ মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলছে সেন্ট মার্টিন

১ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের হামলার প্রতিবাদে পিসিসিপির বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের হামলার প্রতিবাদে পিসিসিপির বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাজিলে মাদকচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, নিহত ১৩২
ব্রাজিলে মাদকচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, নিহত ১৩২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য মাঠের বাইরে পেদ্রি
অনির্দিষ্টকালের জন্য মাঠের বাইরে পেদ্রি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ ম্যাচে অপরিবর্তিত দল বাংলাদেশের
শেষ ম্যাচে অপরিবর্তিত দল বাংলাদেশের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘এই দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ নেই’
‘এই দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ নেই’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী
এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লীকবির জমি দখলের অভিযোগ এ কে আজাদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে
পল্লীকবির জমি দখলের অভিযোগ এ কে আজাদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব সম্পর্ক ও স্বার্থের ঊর্ধ্বে আল্লাহর ভালোবাসা
সব সম্পর্ক ও স্বার্থের ঊর্ধ্বে আল্লাহর ভালোবাসা

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাতারে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে পালিত, এসএসসি-এইচএসসি উত্তীর্ণদের সম্মাননা
কাতারে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে পালিত, এসএসসি-এইচএসসি উত্তীর্ণদের সম্মাননা

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

উত্তরায় নারী উত্ত্যক্তের ঘটনার ৬ দিন পর মামলা নিল পুলিশ
উত্তরায় নারী উত্ত্যক্তের ঘটনার ৬ দিন পর মামলা নিল পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল: নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল: নবীউল্লাহ নবী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রতারণা করেছে ঐক্য কমিশন
প্রতারণা করেছে ঐক্য কমিশন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বর্জ্য থেকে গ্রিন ডিজেল ও এভিয়েশন ফুয়েল উৎপাদন করবে চসিক
বর্জ্য থেকে গ্রিন ডিজেল ও এভিয়েশন ফুয়েল উৎপাদন করবে চসিক

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হারের পর বোলারদের ‘সরি’ বললেন লিটন
হারের পর বোলারদের ‘সরি’ বললেন লিটন

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ
মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুদানে আরএসএফ’র বর্বরতার নিন্দা জানালো ইইউ
সুদানে আরএসএফ’র বর্বরতার নিন্দা জানালো ইইউ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমবে
দেশজুড়ে পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমবে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার কবর দিলেন সাকিব আল হাসান
যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার কবর দিলেন সাকিব আল হাসান

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মথ ডালকে মুগ হিসেবে বিক্রি, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি
মথ ডালকে মুগ হিসেবে বিক্রি, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম
বৃহস্পতিবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নির্বাচন নাও হতে পারে, সবার আগে জুলাই সনদ হতে হবে: তাহের
জাতীয় নির্বাচন নাও হতে পারে, সবার আগে জুলাই সনদ হতে হবে: তাহের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছরের চেষ্টায় নিজস্ব প্রযুক্তির কার্গো বিমান তৈরি করল ইরান
১৫ বছরের চেষ্টায় নিজস্ব প্রযুক্তির কার্গো বিমান তৈরি করল ইরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক ও প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরিপত্র জারি
অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক ও প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরিপত্র জারি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!
১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সম্পত্তি ফেরত পেতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা এস আলমের
সম্পত্তি ফেরত পেতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা এস আলমের

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও
স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ
মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যত্যয় হলে দায় এই সরকারের : মির্জা ফখরুল
সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যত্যয় হলে দায় এই সরকারের : মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কি আছে ইরানের সিমোর্গে, কেন এই নামকরণ?
কি আছে ইরানের সিমোর্গে, কেন এই নামকরণ?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, আবারও মোদির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নতুন কটাক্ষ
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, আবারও মোদির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নতুন কটাক্ষ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নতুন সুযোগ
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নতুন সুযোগ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেতন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাক্ষাৎ
বেতন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাক্ষাৎ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: মাসুদ সাঈদী
গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: মাসুদ সাঈদী

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজে ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয়
মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজে ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয়

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিয়মিত খালি পেটে খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
নিয়মিত খালি পেটে খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী
এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার সামিরার মা লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এবার সামিরার মা লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িতরা বিএনপি সদস্য হতে পারবে না : রিজভী
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িতরা বিএনপি সদস্য হতে পারবে না : রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীর বাস সেবার মানোন্নয়নে টিএফএল মডেল প্রস্তাব ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের
রাজধানীর বাস সেবার মানোন্নয়নে টিএফএল মডেল প্রস্তাব ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া
এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন আহমদ
অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন আহমদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস দ্বিগুণ করার প্রস্তাব

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন নিয়ে সংকট
নির্বাচন নিয়ে সংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল অ্যাপে ঋণের নামে প্রতারণা
মোবাইল অ্যাপে ঋণের নামে প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

রেলের টিকিট নিয়ে নয়ছয়
রেলের টিকিট নিয়ে নয়ছয়

পেছনের পৃষ্ঠা

৩৭২ টন কোরবানির পশুর গোশত অনুদান দিল সৌদি আরব
৩৭২ টন কোরবানির পশুর গোশত অনুদান দিল সৌদি আরব

নগর জীবন

জাগো বাহে, কোনঠে সবায়
জাগো বাহে, কোনঠে সবায়

সম্পাদকীয়

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব শুরু আজ
ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব শুরু আজ

দেশগ্রাম

বিশেষ চরিত্রে বড় শিল্পীরা
বিশেষ চরিত্রে বড় শিল্পীরা

শোবিজ

ছয় আসন চেয়ে বিএনপির কাছে চিঠি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির
ছয় আসন চেয়ে বিএনপির কাছে চিঠি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির

নগর জীবন

এভাবে আর কত দিন শুয়ে থাকব, মা!
এভাবে আর কত দিন শুয়ে থাকব, মা!

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ কি নির্বাচন বানচালে সুশীলদের অস্ত্র?
জুলাই সনদ কি নির্বাচন বানচালে সুশীলদের অস্ত্র?

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ডেকে আনছে বিপদ
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ডেকে আনছে বিপদ

নগর জীবন

খুলনায় অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি
খুলনায় অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি

নগর জীবন

উদ্ধার গুলির পেছনে ইংরেজিতে লেখা ৭.৬২
উদ্ধার গুলির পেছনে ইংরেজিতে লেখা ৭.৬২

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে আবুল খায়ের স্টিলের রিবার রোলিং মিল উদ্বোধন
চট্টগ্রামে আবুল খায়ের স্টিলের রিবার রোলিং মিল উদ্বোধন

নগর জীবন

রাশমিকার গোপন বাগদান
রাশমিকার গোপন বাগদান

শোবিজ

মাঠ চষছেন বিএনপির সম্ভাব্য পাঁচ প্রার্থী, অন্যরা এককভাবে
মাঠ চষছেন বিএনপির সম্ভাব্য পাঁচ প্রার্থী, অন্যরা এককভাবে

নগর জীবন

প্রেক্ষাপট উপস্থাপনায় জাকিয়া বারী মম
প্রেক্ষাপট উপস্থাপনায় জাকিয়া বারী মম

শোবিজ

ওটিটিতে পপি-রাজু
ওটিটিতে পপি-রাজু

শোবিজ

ডেসকো পরিচালনা সভা
ডেসকো পরিচালনা সভা

নগর জীবন

গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়
গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়

নগর জীবন

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে সম্মাননা প্রদান
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে সম্মাননা প্রদান

নগর জীবন

জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত ঐকমত্য কমিশন : আমজনতার দল
জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত ঐকমত্য কমিশন : আমজনতার দল

নগর জীবন

নাতজামাইয়ের ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন
নাতজামাইয়ের ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন

দেশগ্রাম

সড়কে শিক্ষিকাসহ চারজনের মৃত্যু
সড়কে শিক্ষিকাসহ চারজনের মৃত্যু

দেশগ্রাম

দীর্ঘ লাইনের ভোগান্তি এড়াতে বিএমইউতে অনলাইন সেবা চালু
দীর্ঘ লাইনের ভোগান্তি এড়াতে বিএমইউতে অনলাইন সেবা চালু

নগর জীবন

তিস্তা, হাহাকার লাখো মানুষের
তিস্তা, হাহাকার লাখো মানুষের

দেশগ্রাম

বেতন বন্ধ ১১ মাস মানবেতর জীবনযাপন
বেতন বন্ধ ১১ মাস মানবেতর জীবনযাপন

দেশগ্রাম

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও দখলদাররা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না
চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও দখলদাররা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না

নগর জীবন