নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাতে আইটিভির টিভি বিতর্কের হার-জিৎ নিয়ে এবার চলছে বিতর্ক। প্রধান দুই দল লেবারপার্টি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে টিভি বিতর্কে আলাদা আলাদাভাবে জয়ের দাবি করা হচ্ছে। এ টিভি বিতর্কের মাধ্যমে সিদ্ধান্তহীন ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ হবে বলে আশা করছেন নেতারা। এসব সিদ্ধান্তীন ভোটাররাই মূলত ৭ মে হার-জিৎ নির্ধারণ করবে।
লেবার লিডার এড মিলিব্যান্ডের সঙ্গে হেড টু হেড বিতর্কে যেতে চাননি টোরি লিডার ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন। তবে লেবার, টোরিসহ ৭টি রাজনৈতিক দলের নেতার অংশগ্রহণে আইটিভির টিভি বিতর্কে সব চাইতে ভালো করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন। যদিও লেবার লিডারের মতে, প্রধানমন্ত্রী তার রেকর্ড ডিপেন্ডের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং তিনি নিজে ভালো করেছেন বলে মনে করেন লেবার লিডার এড মিলিব্যান্ড। জিরো আওয়ার কন্ট্রাক্ট ইস্যুতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কিছুট নাজেহাল করতে পেরেছেন বলেও মনে করেন লেবার লিডার। এতে লিবডেম লিডার, ইউকিপ, এসএনপি, গ্রিন পার্টি ও ওয়েলসের রাজনৈতিক পার্টি প্লেইড চাইমরুর লিডার অংশ নেন। এনএইচএস, ইমিগ্রেশন এবং জাতীয় ঋণ বা অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রায় ৭ মিলিয়ন দর্শক দুই ঘণ্টার এ টিভি বিতর্ক দেখেছেন।
বিতর্ক শেষ হওয়ার পরপরেই পরিচালিত জরিপে কোন দল জয়ী হয়েছে সে ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে টিভি বিতর্কে অংশ নেয়া রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন তারা ভালো করেছেন।
লিডমেড লিডার নিক ক্ল্যাগ মনে করছেন, বিশাল দর্শকের সামনে তিনি তার দলের পক্ষ থেকে ভালো কিছু উপস্থাপন করেছেন। ইউকিপ লিডার নাইজেল ফারাজ এনএইচএসের উপর জোর দিয়ে ভালো করেছেন বলে মনে করছে তার দল। কনজারভেটিভের সিনিয়র নেতাদের সামনে এসএনপি লিডার হিসাবে স্কটিশ স্বার্থে কথা বলতে পেরে খুশি নকোলা স্টোরজান। প্লেইড চাইমরু ওয়েলসবাসীর পক্ষে সরাসরি কথা বলতে পেরে ধন্য। টিভি বিতর্কের পরদিন শুক্রবার থেকে জোর ক্যাম্পেইনে নেমেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ এপ্রিল, ২০১৫/ রশিদা