শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:৪৩, শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭

২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’র স্বীকৃতি আদায়ে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে :
অনলাইন ভার্সন
২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’র স্বীকৃতি আদায়ে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন-মোমেন বলেছেন, ‘একাত্তরের ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’র স্বীকৃতির জন্যে সর্বাত্মক প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সাথে এ নিয়ে দেন-দরবারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সমর্থন লাভের চেষ্টাও চলছে। ইতিপূর্বে রুয়ান্ডাসহ যে সব দেশের গণহত্যার স্বীকৃতি মিলেছে, সে সব দেশের অভিজ্ঞতাও আমরা জানছি। সেভাবেই নিউইয়র্কে আমরা যেমন তৎপর রয়েছি, একইভাবে জেনেভাসহ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহে কর্মরত বাংলাদেশ কন্স্যুলেট ও দূতাবাসেরও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সেটিও চলছে।’ 

জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক কটূনীতির হাল-হকিকত নিয়ে শুক্রবার নিউইয়র্ক হতে প্রকাশিত এবং উত্তর আমেরিকায় বাংলা ভাষায় প্রাচিনতম ও সর্বাধিক প্রচারিত ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’কে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাতকারে মাসুদ বিন-মোমেন উল্লেখ করেছেন, ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও ভূমিকা রয়েছে। তারা যে দেশে অবস্থান করছেন, সেই সব দেশের নীতি-নির্দ্ধারক, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান, সিনেটর অথবা স্টেট ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে এখানকার প্রবাসীরা এ নিয়ে কথা বলতে পারেন। ই-মেইলে অনুরোধ রাখতে পারেন। হোয়াইট হাউজেও ফ্যাক্স অথবা অনলাইনে অনুরোধ রাখতে পারেন। অর্থাৎ সম্মিলিত একটি প্রচেষ্টার দরকার। তাহলে বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে এবং এক সময় আমাদের মহান ভাষা দিবস যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে, ঠিক একইভাবে গণহত্যা দিবসও স্বীকৃতি লাভ করবে।’

গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দেখুন, গতমাসেই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে এ সম্পর্কিত বিল পাশ হয়েছে। এরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জেনেভা এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি অবহিত করে গেছেন। বিশেষ করে গণহত্যা প্রতিরোধ সম্পর্কিত উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এডামা ডিয়াংয়ের সাথেও তারা সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে তার সহায়তা চেয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভারত ও ভূটানের সমর্থন পাওয়া গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ দুটি দেশ সফরকালে তিনি তাদের সমর্থন লাভে সক্ষম হন। এ পর্যায়ে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে এবং সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, সে সব দেশের সাথে কথা বলছি। ইতিমধ্যেই যে সব দেশের গণহত্যার স্বীকৃতি মিলেছে, সে সব দেশের অভিজ্ঞতা আমরা জানছি। কী ধরনের চ্যালেঞ্জ তাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে, সে সব তথ্যও অবহিত হচ্ছি।’

রুয়ান্ডার স্থায়ী প্রতিনিধির সাথে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে অফিসে ফেরার পরই এ সাক্ষাতকার দেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই রুয়ান্ডার পিআরের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে নানা জটিলতা অতিক্রম করতে বেশ কিছু সময় লেগেছে। এটি আমরা সকলেই জানি যে, ১৯৯৫ সালে সংঘটিত রুয়ান্ডার গণহত্যা ছিল অত্যন্ত নৃশংসতায় পূর্ণ। আমাদের তুলনায় সেটি খুব পুরনো নয়।’ তবুও তাদেরকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি। 

‘সিকিউরিটি কাউন্সিলে এ নিয়ে রেজ্যুলেশন পাশের পর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রেজ্যুলেশনের সময় তাদেরকে দীর্ঘ ৮ বছর চেষ্টা চালাতে হয়েছে। ২০০৩ সালে সেটি পাশ হয়েছে সাধারণ অধিবেশনে। এসব অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে আমি জেনে এলাম।  তিনিও আমাকে আশা দিয়েছেন সর্বাত্মক সহায়তার। আরমেনিয়ার গণহত্যার তথ্যাবলিও সংগ্রহ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সামনে এগুনোর পথে রয়েছি। তবে এজন্যে আমাদেরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এ দাবি আদায়ে শুধুমাত্র সরকার এগিয়ে আসলেই হবে না। প্রবাসীদেরকেও নিজ নিজ দেশের নীতি-নির্দ্ধারকদের সাথে দেন-দরবার চালাতে হবে। আমি যখনই কোন অনুষ্ঠানে যাই, সেখানেই এ আহবান রাখি।’

জাতিসংঘ থেকে আরমেনিয়ার বর্বরতাকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’র স্বীকৃতি আদায়ে কী ধরনের তৎপরতা চলছে  সে আলোকে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘২২ এপ্রিল একটি মুভি রিলিজ হয়েছে। তার নাম ‘প্রমিজ’। হলিউডে নির্মিত এই ছবিতে ১৯১৫ সালে ১০ লক্ষাধিক আরমেনিয়ানকে নির্বিচারে হত্যার ঘটনাবলীর ভিত্তিতে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। আরমেনিয়ান মিশন থেকে এ ছবিটি কূটনীতিকদের জন্যে ইতিপূর্বেই প্রদর্শন করা হয়েছে। আরমেনিয়ান-আমেরিকান অস্কার আইজ্যাক ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এটি তৈরী করেছেন। সেই গণহত্যার কথা মানুষ প্রায় ভুলেই গেছিলেন। এই মুভি যারা দেখবেন তারাই স্পষ্ট একটি ধারণা পাবেন কীভাবে আরমেনিয়ার সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের হত্যা করা হয়েছে। ১০০টি সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করেও যা সম্ভব হবে না, এই একটিমাত্র মুভি তার চেয়েও অনেক বেশী অবদান রাখবে ঐ গণহত্যার ভয়াবহতা জনসমক্ষে উপস্থাপনে। হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এতে অভিনয় করছেন। এই ছবি নির্মাণেও সময় লেগেছে ৫ বছর। আরমেনিয়ান স্থায়ী প্রতিনিধির সাথে বৈঠকের সময় তিনি আমাকে বলেছেন, ১০০ বছর ধরে চেষ্টা করছি, প্রয়োজনে আরো ১০০ বছর চেষ্টা করবো, তবুও আমরা থামবো না।’ 

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘আমাদের প্রবাসীরাও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সেটি দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে-তা বলা যায় অনায়াসে। বিশেষ করে শিক্ষাবিদদের সাথে শিক্ষাঙ্গনে সভা-সেমিনার করা যেতে পারে। পৃথিবীতে গণহত্যা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাদের সাথে কথা বলা যেতে পারে, এ নিয়ে বাংলাদেশে এবং পরবর্তীতে আঞ্চলিক পর্যায়ে সভা-সেমিনার হতে পারে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ২৫ মার্চের বর্বরতার তথ্য ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশীদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন, গবেষণাতেও সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছেন অনেক প্রবাসী, তাদের মাধমেও ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের তথ্য মূলধারায় ছড়িয়ে দেয়া সহজ হতে পারে। অর্থাৎ যে যেখানেই আছেন, সেখান থেকেই এ ব্যাপারে আন্তরিক অর্থে সোচ্চার হবার অনুরোধ জানাচ্ছি।  সকলকে নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগে এ কাজে আমাদের সক্রিয় থাকতে হবে। এটিকে বিবেচনা করতে হবে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে।’

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন,  ‘আমাদের এই অভিযাত্রায় যারা আন্তরিক অর্থেই সহযাত্রী হতে পারেন বলে মনে করছি, তাদের সাথে কথা বলছি সবকিছুর আগে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ভেটো প্রদানের ক্ষমতা যাদের রয়েছে সেই ৫ রাষ্ট্রকে সাথে রাখতে হবে। কেউ যদি সমর্থন না-ও দেয়, অন্তত: বিরোধিতা যাতে না করে। এটিও স্মরণ রাখা জরুরী। এটিও আমরা সামনে রেখেছি।’

জাতিসংঘ স্বীকৃত ৯ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ স্বীকৃতি আদায়েও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এর বিরোধীতাও ছিল প্রবল। তাই চ‚ড়ান্ত রেজ্যুলেশনেও ‘প্রিভেনশন অব জেনোসাইড’ শব্দটি সন্নিবেশিত হয়েছে। অর্থাৎ আর গণহত্যা নয়-এমন একটি সংকল্প সামনে রাখা হয়েছে। কোন দেশে গণহত্যার ভয়াবহতা কতটা-সেদিকে কেউ শেষ পর্যন্ত যায়নি। গণহত্যার মত নিষ্ঠুরতা আর যাতে না ঘটে-সে বিষয়টি সামনে রাখা হয় ঐ রেজ্যুলেশনে।’

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বিল পাশের পর নিউইয়র্কে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির সাথে কখনো কী আপনার সাক্ষাত ঘটেছে কিংবা এ নিয়ে তারা কি কোন অভিমত পোষণ করেছেন-এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘ঐ পর্যায়ে এখনো আমরা যাইনি। এখন পর্যন্ত আমরা গণহত্যা সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহ করছি। তথ্য সংগ্রহের পর আমরা সে সব বিশ্লেষণ করবো এবং তারপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সে পর্বেই হয়তো সদস্য রাষ্ট্রের সাথে সরাসরি আলোচনা শুরু করা হবে সমর্থন লাভের জন্যে।’

জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত সংহত। দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশের ট্রুপসের সাহসিকতা, নিষ্ঠার প্রশংসা সর্বত্র। তবে, এই মিশন পরিচালনায় সবচেয়ে বেশী অর্থ প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যেই এ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছেন। এরফলে মিশনগুলো অব্যাহত রাখা নিয়ে নানা সংকটের আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে। কিছু মিশন বন্ধ হয়েও যেতে পারে। আমরা সচেষ্ট রয়েছি, মিশনগুলো অব্যাহত রাখার জন্যে। শান্তি প্রক্রিয়া যাতে ব্যাহত না হয়-সেভাবে দেন-দরবারও চলছে।’

ইতিমধ্যেই হাইতির মিশন একেবারেই ছোট করার কথা বলা হয়েছে। আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানের মিশন নিয়েও কথা হচ্ছে। হাইতিতে আমাদের শুধুমাত্র মহিলা পুলিশের একটি টিম রয়েছে। আলাদা করে বড় ব্যাটেলিয়ন ছিল না। সেটি পরিচালিত হচ্ছিল রুয়ান্ডার নেতৃতে। কঙ্গোতে রয়েছে বড় একটি মিশন। সেটিও ছোট করা হতে পারে আর্থিক কারণে’-বলেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। 

‘গোলযোগপূর্ণ এলাকার শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার স্বার্থে সবকিছু যাতে অটুট রাখা যায়, হঠাৎ করে কোন মিশন বন্ধ করার ফলে যে ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে-তা নিয়ে আমরাও কাজ করছি সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে’-বলেন স্থায়ী প্রতিনিধি। 

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়র লক্ষ্য তথা এসডিজি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইকসকের হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামে ৪২টি দেশ স্বেচ্ছায় অঙ্গিকার করেছে যে, তারা নিজ নিজ দেশে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। মনিটরিংয়ের সেই পদ্ধতি স্থাপনের কাজ চলছে ঢাকায়। জুলাই মাসে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে। সে সময় তা চালু হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়কারি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে এ কাজ চলছে। এর নাম হচ্ছে, ‘এসডিজি ট্র্যাকার।’  এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে চরম দারিদ্র দূরিকরণ, অন্যায় আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রত্যেক দেশের জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে কীভাবে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে তা তার ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির পর অগ্রগতি নির্দিষ্ট করবে এই পদ্ধতি। তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর এই প্রক্রিয়া উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় একটি ব্যবস্থায় পরিণত হবে।’ 

‘এমডিজি সীমাবদ্ধ ছিল উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মধ্যে। লক্ষ্যও ছিল শুধু উন্নয়নের। কিন্তু এসডিজি সকল রাষ্ট্রের জন্যেই নির্দ্ধারিত। আমেরিকার জন্যে যতটুকু প্রযোজ্য, ঠিক ততটুকু বাংলাদেশের জন্যেও। এবং এর লক্ষ্যও বিস্তৃত। ১৭টি মূল এজেন্ডার অধীনে ১৬৯টি টার্গেট রয়েছে। তবে সবদেশের জন্যে সবগুলো লক্ষ্য প্রযোজ্য নয়’ বলেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। 
মাঝেমধ্যেই প্রবাসীদের মধ্য থেকে কোন কোন গ্রুপ জাতিসংঘ মহাসচিব সমীপে স্মারকলিপি দেয়। এসব স্মারকলিপির অধিকাংশই বাংলাদেশের রাজনীতি নির্ভর। স্মারকলিপি গ্রহণের পর কখনো জাসিংঘ সচিবালয় থেকে আপনার সাথে তা নিয়ে কোন কথা বলা হয় কী-এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘না কখনোই এমনটি ঘটেনি। আমি এক বছর চারমাস যাবত দায়িত্ব পালন করছি। তাদের ঢাকায় অফিস রয়েছে, হয়তো সরাসরি তারা সেখান থেকেই খোঁজ-খবর নিয়ে থাকতে পারেন।’

গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট তথা জিএফএমডির অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান কী জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা সভাপতি ছিলাম। সে সময়ে ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের একটি সমাবেশ হয়। এখন সভাপতির দায়িত্ব জার্মানীর। আমাদের চেয়ারম্যানশিপে অর্জন অনেক বেশী। গ্লোবাল কমপেক্ট অব মাইগ্রেশন হতে যাচ্ছে আগামীতে-যা আমাদের উদ্যোগেই সামনে আসে। গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ শীর্ষ সম্মেলনের সময় ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন শীর্ষক একটি সমাবেশও হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। ‘নিউইয়র্ক ডিক্লারেশন’ এসেছে সেখান থেকে। তার ফলোআপ হিসেবেই গ্লোবাল কমপেক্ট অব মাইগ্রেশন হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে এটি রেজুলেশন আকারে গৃহিত হতে যাচ্ছে। তার আগে এ নিয়ে পর্যালোচনা-বিশ্লেষণ চলবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সোচ্চার। কারণ, বাংলাদেশের বিরাটসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন দেশে বাস করছেন। তাদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্যেই আন্তর্জাতিক সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের বিকল্প নেই। এর ফলে শুধু বাংলাদেশের মত মাইগ্রেন্ট সরবরাহকারি রাষ্ট্রই উপকৃত হবে না, একইসাথে যারা তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন, কাজের সুবিধা দিচ্ছেন, তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেবেন, সে সব শ্রমিক-কর্মচারির মানবাধিকার সুরক্ষা করবেন, সে সব দেশও তার রেজাল্ট পাবেন। এটি মূলত: পরস্পরের পরিপূরক। এক্ষেত্রে আমরা সরব রয়েছি সকল ফোরামে।’ 

‘গত বছর সিরিয়ার পরিস্থিতির কারণে বহু মানুষ দেশান্তরিত হন। ইউরোপ ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও আসতে থাকেন। তেমনি সময়ে রিফ্যুজির সাথে সন্ত্রাসীরাও আসছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের আসার পথ বন্ধ করে দেয়। এরফলে প্রাণভয়ে দেশত্যাগী মানুষেরা অবর্ণনীয় দুর্দশায় পড়েছিলেন। সে বিষয়টিও এই সিদ্ধান্তের পথ সুগম করবে বলে মনে করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ দমন ও নির্মূলে চলমান পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘প্রিভেন্টিং ভাযোলেন্স এক্সট্রিমিজম’ এবং ‘কাউন্টারিং ভায়োলেন্স এক্সট্রিমিজম’-এ দুটি দিক রয়েছে। উভয় বিষয়েই জাতিসংঘ এখন বিশেষভাবে তৎপর। সেখানে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে দেখার অবকাশ নেই। কারণ, সারাবিশ্বেই এখন এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের দেশের আলোকে বিশেষ করে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গৃহিত পদক্ষেপকে কীভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজারজাত করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা তৎপর। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ যুব সমাজ, মা, ইমামসহ ধর্মীয় নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষকদের নিয়ে একযোগে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন যে, সন্তানকে সুপথে রাখতে মা’দের আরো সজাগ থাকতে হবে। কদিন আগেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ এসেছিলেন জাতিসংঘে। এলায়েন্স অব সিভিলাইজেশন অফিসের কর্মকর্তাগণের সাথে তার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিলাম। জাতিসংঘে একটি সেমিনারেও তিনি চমৎকার একটি ধারণা দিয়েছেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের ব্যাপারে। বাংলাদেশ যে কখনোই কোন ধরনের সহিংসতা এবং ধর্মের নামে সন্ত্রাসকে পছন্দ করে না, সরকারীভাবেও এ ধরনের আচরণকে সহ্য করার মানসিকতা নেই বলে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী-এসব কিছুই সংশ্লিষ্ট সকলের গোচরে রয়েছে।’

 


বিডি প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর
ফোবানা আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেল হোপ ফাউন্ডেশন
ফোবানা আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেল হোপ ফাউন্ডেশন
গ্রিসে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
গ্রিসে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
কানাডায় শেষ হলো ৮ম টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
কানাডায় শেষ হলো ৮ম টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
পর্তুগালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
পর্তুগালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৩৭৭ বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৩৭৭ বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব
মালয়েশিয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মালয়েশিয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
‘ক্ষমতায় থাকা নয়, দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়’
‘ক্ষমতায় থাকা নয়, দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়’
মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশি তরুণদের কোস্টাল কেয়ার ক্যাম্পেইন
মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশি তরুণদের কোস্টাল কেয়ার ক্যাম্পেইন
মালয়েশিয়ায় দুইদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির
মালয়েশিয়ায় দুইদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন পেনাং গ্লাডিয়েটর
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন পেনাং গ্লাডিয়েটর
সিডনিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন
সিডনিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন
সর্বশেষ খবর
তিন দাবিতে অনশনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
তিন দাবিতে অনশনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্রে দুইদিনের উৎসব
নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্রে দুইদিনের উৎসব

৩২ মিনিট আগে | শোবিজ

টেকসই তৈরি পোশাক খাত নিয়ে ঢাকায় মতবিনিময় সভা ও প্রদর্শনী
টেকসই তৈরি পোশাক খাত নিয়ে ঢাকায় মতবিনিময় সভা ও প্রদর্শনী

৩৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটজন গ্রেফতার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটজন গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

হজের নিবন্ধন শেষ হবে ১২ অক্টোবর: ধর্ম মন্ত্রণালয়
হজের নিবন্ধন শেষ হবে ১২ অক্টোবর: ধর্ম মন্ত্রণালয়

৪৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

বিপুল ভোটে জিতে কোয়াবের নতুন সভাপতি মিঠুন
বিপুল ভোটে জিতে কোয়াবের নতুন সভাপতি মিঠুন

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনুপ্রবেশকারী দুই বাংলাদেশি নারীকে ফেরত দিলো বিএসএফ
অনুপ্রবেশকারী দুই বাংলাদেশি নারীকে ফেরত দিলো বিএসএফ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘সুপারম্যান’-এর সিক্যুয়েল: মুক্তি ২০২৭ সালে
‘সুপারম্যান’-এর সিক্যুয়েল: মুক্তি ২০২৭ সালে

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কুয়াকাটা সৈকতে আবারো ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কুয়াকাটা সৈকতে আবারো ভেসে এলো মৃত ডলফিন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে ৩ জনকে অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ৩ জনকে অপহরণের অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে পৃথক স্থানে দুই শিশুর মৃত্যু
রংপুরে পৃথক স্থানে দুই শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নড়াইলে যুবককে কুপিয়ে জখম
নড়াইলে যুবককে কুপিয়ে জখম

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১
নাটোরে অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মারা গেছেন ইতালির খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার জর্জিও আরমানি
মারা গেছেন ইতালির খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার জর্জিও আরমানি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন
৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় পার্টিতে উত্তরাধিকারের রাজনীতি
জাতীয় পার্টিতে উত্তরাধিকারের রাজনীতি

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টঙ্গীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি
টঙ্গীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেফতার
কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঝিনাইদহে ছিনতাইকারী আটক
ঝিনাইদহে ছিনতাইকারী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
চট্টগ্রামে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উত্তরায় হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
উত্তরায় হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চবি: সংঘর্ষের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম
চবি: সংঘর্ষের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাদের গণি চৌধুরীর বড় ভাই মোহাম্মদ গণি চৌধুরী আর নেই
কাদের গণি চৌধুরীর বড় ভাই মোহাম্মদ গণি চৌধুরী আর নেই

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’-এ মৌন মিছিল করলো বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’-এ মৌন মিছিল করলো বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিক্ষোভে উত্তাল ইন্দোনেশিয়া, দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আটক
বিক্ষোভে উত্তাল ইন্দোনেশিয়া, দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চকরিয়ায় অস্ত্রসহ তিন ডাকাত গ্রেফতার
চকরিয়ায় অস্ত্রসহ তিন ডাকাত গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরই কিমের ডিএনএ মুছে ফেলেছে কর্মীরা (ভিডিও)
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরই কিমের ডিএনএ মুছে ফেলেছে কর্মীরা (ভিডিও)

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত কোনো শুল্ক আরোপ না করার প্রস্তাব দিয়েছে: ট্রাম্প
ভারত কোনো শুল্ক আরোপ না করার প্রস্তাব দিয়েছে: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীর নিয়ে ইসরায়েলকে ‘রেড লাইন’ টেনে দিল আরব আমিরাত
পশ্চিম তীর নিয়ে ইসরায়েলকে ‘রেড লাইন’ টেনে দিল আরব আমিরাত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫০ বছর বেঁচে থাকা নিয়ে পুতিন ও শি জিনপিংয়ের আলোচনা
১৫০ বছর বেঁচে থাকা নিয়ে পুতিন ও শি জিনপিংয়ের আলোচনা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে পড়া পরমাণু বোমার চেয়ে ২০০ গুণ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দেখাল চীন
জাপানে পড়া পরমাণু বোমার চেয়ে ২০০ গুণ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দেখাল চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের অপারেশন ম্যানেজারকে কুপিয়ে জখম
মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের অপারেশন ম্যানেজারকে কুপিয়ে জখম

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সব আসামির খালাসের রায় বহাল
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সব আসামির খালাসের রায় বহাল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদ্মার দুই ইলিশ ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেলেনস্কিকে মস্কোয় আমন্ত্রণ পুতিনের
জেলেনস্কিকে মস্কোয় আমন্ত্রণ পুতিনের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি সংসার ভাঙছে মোনালি ঠাকুরের
সত্যিই কি সংসার ভাঙছে মোনালি ঠাকুরের

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হারানো এনআইডি তুলতে আর লাগবে না জিডি
হারানো এনআইডি তুলতে আর লাগবে না জিডি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রকৃত অপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনা চাননি: আসামিপক্ষ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রকৃত অপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনা চাননি: আসামিপক্ষ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সমস্যা থাকলে সমাধান করবো: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তারেক রহমানের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সমস্যা থাকলে সমাধান করবো: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেশে প্রথমবার নাগরিক সেবাকেন্দ্রে চালু হলো পাসপোর্ট সেবা
দেশে প্রথমবার নাগরিক সেবাকেন্দ্রে চালু হলো পাসপোর্ট সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আওয়ামী লীগ আমলে দুর্নীতির ভাগ যারা পেয়েছে তারা আজও চারপাশে ঘুরছে’
‘আওয়ামী লীগ আমলে দুর্নীতির ভাগ যারা পেয়েছে তারা আজও চারপাশে ঘুরছে’

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে আইজিপি হওয়ায় অনাগ্রহ ছিল: জেরায় রাজসাক্ষী মামুন
দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে আইজিপি হওয়ায় অনাগ্রহ ছিল: জেরায় রাজসাক্ষী মামুন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও এক হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ
আবারও এক হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাত পোহালেই দেশের মাটিতে মেসির শেষ ম্যাচ
রাত পোহালেই দেশের মাটিতে মেসির শেষ ম্যাচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অবস্থা সংকটাপন্ন, নিবিড় পরিচর্যায় ফরিদা পারভীন
অবস্থা সংকটাপন্ন, নিবিড় পরিচর্যায় ফরিদা পারভীন

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বের সেরা ফোন, যে চীনা মোবাইল আমেরিকাও হ্যাক করতে পারে না: মাদুরো
বিশ্বের সেরা ফোন, যে চীনা মোবাইল আমেরিকাও হ্যাক করতে পারে না: মাদুরো

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে রাশিয়ার ‘ভেটো’ ক্ষমতা নেই: ন্যাটো প্রধান
ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে রাশিয়ার ‘ভেটো’ ক্ষমতা নেই: ন্যাটো প্রধান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৪ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৪ সেপ্টেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট চেয়ে দুদকের চিঠি
হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট চেয়ে দুদকের চিঠি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পর্তুগালে ভয়াবহ ক্যাবল রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫, আহত ১৮
পর্তুগালে ভয়াবহ ক্যাবল রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫, আহত ১৮

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন
৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভাবনা
দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভাবনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় অভিনেতা গ্রেফতার
ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় অভিনেতা গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনের ভূমি দিয়েই পশ্চিমাদের জব্দকৃত সম্পদ ফিরিয়ে আনা হবে: রাশিয়া
ইউক্রেনের ভূমি দিয়েই পশ্চিমাদের জব্দকৃত সম্পদ ফিরিয়ে আনা হবে: রাশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’
‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক