মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইতালির রোমের অভিজাত হোটেল পারকো দিই প্রিন্সিপিতে কূটনৈতিক কোরের সম্মানে এক জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইতালিতে অবস্থিত জাতিসংঘের তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা (এফ.এ.ও, ডব্লিও.এফ.পি, ইফাদ) এর কর্মকর্তা, ইতালিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইতালিতে অবস্থিত খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং পর্যটনের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, তাৎপর্য এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদান ও অর্জন তুলে ধরেন। এছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যকার সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আগামী দিনে দুইদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের গেস্ট অফ অনার, ইতালির অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আন্দ্রে চাউফি’কে আগত অতিথিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রধান অতিথি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। এছাড়াও, দু'দেশের মধ্যকার বিরাজমান উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক এবং এর উত্তোরত্তোর উন্নয়ন সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন এবং এর মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাতার, হাঙ্গেরি, কসোভো, সেনেগাল, ভেনিজুয়েলা, কিউবা’সহ প্রায় ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত; ৬৫টি দেশের কূটনীতিকবৃন্দ; জাতিসংঘের ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার ৪০জন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা; খ্যাতনামা লা স্যাপিয়েঞ্জা, লুইস, জন ক্যাবত, ইউনিক্যামুলাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিখ্যাত পেট্রোলিয়াম কম্পানি এনি এর ভাইস প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং কমিউনিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রবাসী খ্যাতনামা শিল্পীগনের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশুদের মনোমুগদ্ধকর ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীত শিল্পীদের সুরের মূর্ছনা আমন্ত্রিত অতিথিদের দ্বারা ব্যাপক প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার পরিবেশন সার্বিক অনুষ্ঠানকে আরো উপভোগ্য করে তোলে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব