‘বাংলাদেশ সম্মেলন’র সমাপনী উৎসবে সদস্য সচিব আলমগীর খান আলম বলেছেন, ‘করোনা ভীতির পরিপ্রেক্ষিতে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এবারের সম্মেলনে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়নি। সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের আগ্রহের পরিপূরক নৌ-ভ্রমণ, ট্যালেন্ট শো, ফ্যাশন শো, সেমিনার, কাব্য জলসা এবং নাচ আর গানের আসর বসেছিল। বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করেছেন। সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায় উপ-মহাদেশের খ্যাতনামা শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অনবদ্য পরিবেশনা।
আলম বলেন, ২০১৬ সালে শুরু এই সম্মেলনের। প্রতি বছরই করার ইচ্ছা থাকলেও মধ্যখানে নিউইয়র্কে ফোবানার সম্মেলন একইসময়ে হওয়ায় আমরা কোনো কনফ্লিক্টে যেতে চাই না বলে ২০১৯ সালে সম্মেলন করিনি। এজন্যে এবারের সম্মেলন ছিল তৃতীয় বাংলাদেশ সম্মেলন। সামনের বছর চতুর্থ সম্মেলন সর্বকালের সেরা একটি সমাগমে পরিণত করতে আমরা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করবো। এজন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে শিগগিরই বৈঠক করা হবে।
আলম উল্লেখ করেন, কোনভাবেই এটি ফোবানার পাল্টা কোনো সম্মেলন নয়। প্রয়োজনে আমরা ফোবানার নির্ধারিত সময় ‘লেবার ডে উইকেন্ড’ পরিত্যাগ করে মেমরিয়্যাল ডে উইকেন্ড অথবা থ্যাঙ্কস গীভিং উইকেন্ডে করতে পারি। এ সময়ে উত্তর আমেরিকায় ২০ লাখের বেশী বাঙালি বাস করছি। তাই যতবেশী সম্মেলন হবে ততই মঙ্গল প্রবাস প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রাখার অঙ্গিকার প্রশ্নে।
উল্লেখ্য, দেড় দশকেরও অধিক সময় যাবত নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় বিনোদন-প্রমোটর হিসেবে নিরলসভাবে কর্মরত ‘শো-টাইম মিউজিক’র প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর খান আলম গত ৬/৭ বছর ভিন্ন আঙ্গিকেও বাংলাদেশ সম্মেলন, সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করে আসছেন। তারই সাথে যুক্ত হয়েছে ‘বাংলাদেশ সম্মেলন’। এবারের তৃতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে একেবারেই ব্যতিক্রমী আমেজে ইস্ট রিভারে নৌ-ভ্রমণের মাধ্যমে এবং উদ্বোধন করেছিলেন কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়। আর সমাপনী ঘটলো খ্যাতনামা শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অনবদ্য পরিবেশনার মধ্যদিয়ে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল