শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জর্জ বার্নাড শ-এর কত কাহিনি

জর্জ বার্নাড শ-এর কত কাহিনি

বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার, সমালোচক জর্জ বার্নাড শ। এই নাট্যকার লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। আশির দশক থেকে শুরু করে তার মৃত্যুর পরও পশ্চিমা মঞ্চনাটক, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার প্রভাব এখনো আলোচিত। তিনি তাঁর প্রজন্মের অন্যতম নাট্যকার হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এই নাট্যকার। তার জীবনের মজার কিছু ঘটনা নিয়ে এ আয়োজন-

 

বাবার দেখাদেখি

ইলেকট্রিক রেজার বিক্রি করে এমন এক লোক একবার বার্নাড শ’র কাছে এলেন এই আশায়, শ নিজের দাড়ি কামানোর মাধ্যমে তাদের পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হবেন।

শ মুচকি হেসে জানালেন, দাড়ি কামানোর ইচ্ছা তার মোটেই নেই। লোকটি জিজ্ঞাসা করল, ‘কিন্তু কেন স্যার?’ ‘তাহলে তো আপনাকে আমার ছোটবেলার গল্প বলতে হয়, শ বললেন। ‘আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। আমার বাবা দাড়ি কামাচ্ছিলেন আর তার হাঁটুর ওপর বসেছিলাম আমি। হঠাৎ বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি দাড়ি কামাও কেন? বাবা দাড়ি কামানো থামিয়ে প্রায় এক মিনিট ধরে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর বিড়বিড় করে বললেন, ‘তাই তো, আমি দাড়ি কামাই কেন?’ এই বলে রেজারটা জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে দিলেন। তারপর থেকে আর কোনো দিন দাড়ি কামাননি তিনি। আর তার দেখাদেখি আমিও না।’

 

অপেক্ষা

এক তরুণ একবার বার্নাড শ’র একটি লেখা ওই তরুণের সম্পাদিত একটি সংকলনে অন্তর্ভুক্তির অনুমতি চেয়ে শ’কে চিঠি লিখল। চিঠিতে সে জানাল, যেহেতু তার বয়স নিতান্তই কম, এ জন্য শ’কে কোনো টাকা-পয়সা দিতে পারবে না। বার্নাড শ পাল্টা চিঠি লিখলেন, ‘তার চেয়ে আমরা বরং তুমি বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।’

 

প্রিয় ফুল

একবার বার্নাড শ’র সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে এলেন লেখক আর্র্নল্ড বেনেট। শ’র ফুলপ্রীতির কথা জানতেন তিনি। তাই তার বাড়িতে কোনো ফুল না দেখে অবাক হয়ে বললেন, ‘অথচ আমি জানতাম ফুল আপনার অত্যন্ত প্রিয়।’ ‘অবশ্যই প্রিয়’, শ বললেন। ‘শিশুরাও আমার অত্যন্ত প্রিয়, তাই বলে তাদের মাথা কেটে কেটে বাড়িতে সাজিয়ে রাখতে হবে?’

 

সবজান্তা

একদিন এক ডিনার পার্টিতে বার্নাড শ’র পাশে বসল এক সবজান্তা তরুণ। বসার পর থেকেই একের পর এক বড়াই করে বার্নাড শ’র মাথা ধরিয়ে দিল সে। ডিনারজুড়ে তরুণের বাকোয়াজি সহ্য করার পর এক পর্যায়ে ধৈর্য হারিয়ে শ বললেন, ‘একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন, আমি আর আপনি মিলে দুনিয়ার সব জিনিস জানি।’

এ কথায় একটুখানি থমকালো তরুণ, ‘এটা কীভাবে সম্ভব?’  ‘না মানে, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি যে একটা বিরক্তিকর লোক সে তথ্যটা ছাড়া দুনিয়ার বাকি সব তথ্যই আপনি জানেন, আর আপনি যে বিরক্তিকর লোক সেটা জানি আমি। অতএব বুঝতেই পারছেন, আপনি আর আমি মিলে দুনিয়ার সব জিনিস জানি!’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর