শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ আপডেট:

নেতার বিদেহি আত্মার বেদনার ধ্বনি শুনতে পাই

নূরে আলম সিদ্দিকী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নেতার বিদেহি আত্মার বেদনার ধ্বনি শুনতে পাই

সত্যি বিচিত্র এ দেশ, বিচিত্র এ দেশের মানুষের মনন ও মানসিকতা। সীমাহীন আত্মত্যাগ ও অজস্র রক্তধারায় সিক্ত এই ঢাকার রাজপথ। ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে ও ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এখানে মানুষের বুকনিঃসৃত রক্ত ঝরেছে অনেক। এর বিপরীতে প্রাপ্তিও কম নয়। স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণের অধিকার অর্জনের সফলতা ছাড়াও ’৭০-এর গণম্যান্ডেট ও তার ওপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ ও চেতনায় সূর্য স্নাত আমাদের এ স্বাধীনতায় বিশাল জনগোষ্ঠীর অংশীদারিত্ব একটি অবিস্মরণীয় ও অভূতপূর্ব অর্জন। এ অর্জনে বাংলার তরুণ তাজা তপ্তপ্রাণ নেতৃত্বের সিংহাসনে বসিয়েছিল এ দেশের রাজনীতির অতি সাধারণ স্তর থেকে উঠে আসা বাংলার মুকুটহীন সম্রাট, মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত শেখ মুজিবকে। তিনি বাংলার মানুষকে বিশ্বাস করতেন অকপটে এবং তার হৃদয়ের দুয়ার শুধু অবারিতই নয়, তিনি গণভবনে যাননি সাধারণ মানুষের জন্য গণভবনের লৌহকপাট সর্বদা উন্মুক্ত ও অবারিত রাখা সম্ভব নয় বলে।

ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং অনেকেই সম্পূর্ণ নিরাপত্তা-বিবর্জিত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের তাঁর নিজস্ব বাড়ি থেকে তাঁকে স্থানান্তরের জন্য অনেক অনুরোধ-উপরোধ, কাকুতি-মিনতি করে ব্যর্থ হওয়ার পরও অন্তত রাতযাপনের জন্য হলেও গণভবনে অবস্থানের জন্য কী পিড়াপিড়ি ও অনুরোধই না করেছি। এ প্রশ্নে শুধু উপেক্ষাই নয়, অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপও তিনি করেছেন, টীকা-টিপ্পনিও কেটেছেন। সবকিছু সহ্য করেও আমরা অনুরোধ ও চাপ সৃষ্টির প্রাণান্ত প্রচেষ্টা থেকে সরে আসিনি। আমাদের অনুরোধ-উপরোধ যখন কার্যকর হলো না, তখনো নাছোড়বান্দার মতো আমরা তাঁর রাতযাপনের স্থানটির নিরাপত্তা অনেকগুণে বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছি। আজকের প্রজন্ম বিস্ময়াভিভূত ও আশ্চর্যান্বিত হবে, তিনি অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সঙ্গে নিরাপত্তার সেই প্রস্তাবগুলো উপেক্ষা করে তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে প্রায়শই বলতেন-  ‘দরদ দেখাও মিয়ারা? আমি জানি তোমাদের উদ্বিগ্নতার কারণ। কিন্তু তোমরা যেটা জানো, সেটা আমার উদাসীনতা নয়, বাংলার মানুষের প্রতি আমার অকুণ্ঠ বিশ্বাস। আমার প্রতি বাংলার মানুষের ভালোবাসা পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সবাই মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতেন বলেই আমাকে বাংলাদেশের কোনো কারাগার তো দূরে থাক, ক্যান্টনমেন্টেও রাখতে সাহস পায়নি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু হওয়ার পর তারা আমাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সরিয়ে নিয়ে সেনানিবাসে অবরুদ্ধ করে কিন্তু তাতেও কি তাদের শেষরক্ষা হয়েছিল?’ এ প্রশ্নে আমরা নিরুত্তর থাকলেও পরিপূর্ণ আশ্বস্ত হতে পারতাম না, মনকেও প্রবোধ দিতে পারতাম না। প্রতিনিয়তই আমাদের আন্তরিক অনুরোধকে বিদ্রৃপ করে তিনি বলতেন- ‘আমি না বলেছি, ও I love my people.’ আমাকে ধমক দিয়ে বলতেন- ডেভিড ফ্রস্টের কাছে আমি যখন বললাম, আমার চরিত্রের সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো, I love my people too much. তুমি কি মনে কর এটি চটকদার রাজনৈতিক একটি কথার কথা ছিল? হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে কর্মী থেকে নেতা এবং জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছি। এ কারণে আমি যা বলি, সেটা বিশ্বাস করি। আর যেটা বিশ্বাস করি না, সেটা কখনো বলি না। প্রচ- অস্বস্তি এবং দিগন্তবিস্তৃত আকাশের কালো মেঘের মতো একটা অজানা আশঙ্কা ও আতঙ্ক নিয়ে সেদিনের মতো নিশ্চুপ হয়ে যেতাম। 

মুজিব ভাইয়ের নেতৃত্বের যে আসন, সেটি মানুষের হৃদয়ে তিল তিল করে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। সে আসনটি ছিল মোগলদের হীরকখচিত ময়ূর সিংহাসনের চেয়েও মূল্যবান, অতুলনীয়। তাই তো প্রশ্ন এসে যায়, ১৫ আগস্টের পর সারা বাংলাদেশ আগ্নেয়গিরির গলিত লাভার মতো বিস্ফোরিত তো হলোই না, বরং নীরব, নিথর, নিস্পৃহ, নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে রইল কেন? এই নিস্পৃহতার কী কারণ- তার পূর্ণ বিশ্লেষণের ভার আমি ইতিহাসের কাছেই অর্পণ করতে চাই। তবুও আমার নিজের ধারণা, ঘটনার আকস্মিকতা এবং নৃশংস নির্মমতায় সমগ্র জাতি হতচকিত হয়ে গিয়েছিল, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ত- বাকশাল গঠন প্রক্রিয়ার প্রকোপে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। অনেক দল, বিশেষ করে ভ্রান্ত বামের সংমিশ্রণে আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব সাংগঠনিক শক্তি হারিয়ে ফেলে। ভাগের মা গঙ্গা পায় না- এমনই এক রাজনৈতিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল সে সময়। অন্যদিকে, যাদের ওপর সংগঠনগুলোর দায়িত্ব অর্পিত ছিল তারা সবাই দায়িত্ব পালনে কেবল ব্যর্থই হননি, অনেকটা অস্বীকৃতি জানানোর মতোই ছিল তাদের নিস্পৃহতা। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, রক্ষীবাহিনী রাজনৈতিক নির্দেশের অভাবে সেনাবাহিনী থেকে পরিত্যক্ত ২৬ জন ধিকৃত মানুষকে প্রতিরোধ করার জন্য এগিয়ে আসেনি।

বঙ্গবন্ধুকে অকালে হারানোর ক্ষতবিক্ষত আমার হৃদয়কে দীপ্তিহীন আগুনের শিখায় দগ্ধিভূত করে যখন একান্তে ভাবি, বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের গৃহটি আক্রান্ত হওয়ার পর দুই ঘণ্টার কাছাকাছি সময় তিনি হাতে পেয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এবং রক্ষীবাহিনীর যিনি রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন- তাদের সবার সঙ্গে টেলিফোনে বারবার পরিস্থিতি জানিয়ে সাহায্যের জন্য, অর্থাৎ ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার টেলিফোন করার পরও কারও কাছ থেকে তিনি কোনো সহযোগিতা পাননি শুধু কর্নেল জামিল ব্যতিরেকে। আমি প্রত্যয়দৃঢ় চিত্তে মনে করি, সশস্ত্র বাহিনী ও রক্ষীবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তো বটেই, ন্যূনতমভাবে তাদের দেহরক্ষীদের নিয়ে বের হলেও দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করার পথ খুঁজে পেত না। কিন্তু দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুর, মর্মান্তিক শাহাদতের আগে তিনি বুকভরা বেদনা নিয়ে উপলব্ধি করে গেলেন, তিনি কতটা একা, নিঃস্ব ও রিক্ত!

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে কিন্তু দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে যারা সাড়া দেননি, নিষ্ক্রিয়, নিস্পৃহ ও নিস্তব্ধ থেকেছেন তাদের শনাক্ত করে আওয়ামী লীগের মতো সংগঠন থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরে থাক, তাদের চিহ্নিত করে প্রতিবাদ ও জবাবদিহিতা পর্যন্ত চাওয়া হয়নি। বারবার সাহায্য চেয়েও নিষ্ফল হয়ে একাকিত্ব ও অসহায়ত্বের বেদনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আজও সেই গ্লানি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি। যারা নিষ্কলুষচিত্তে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন, তারা আজও কান পাতলে হয়তো ইথারে তাঁর বিদেহী আত্মার এই বেদনার ধ্বনি শুনতে পান।

১৫ আগস্ট কোনো সেনা অভ্যুত্থান বা কোনো বিদ্রোহ হয়নি। কোনো জনতার বিপ্লবও সংঘটিত হয়নি। অন্যদিকে হত্যাকারীরা সংখ্যায় যে কেবল ২৬ জন ছিল তাই নয়, তাদের প্রায় সবাই সামরিক বাহিনী থেকে হয় বহিষ্কৃত, নয় চাকরিচ্যুত। এখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নয়, পরিস্থিতি ব্যাখ্যার প্রয়োজনে আমি উল্লেখ করতে চাই, ১৫ আগস্টে আমার হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ, তা আজও বন্ধ হয়নি। এর প্রধানতম কারণ, তখন আমার হাতে কোনো সংগঠনই ছিল না। ’৭১-এর ২৫ মার্চ সারা বাংলাদেশ যখন পৈশাচিক শক্তি সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হলো এবং কারফিউ জারি করে নির্বিচারে গুলি ছুড়ে নিরীহ নিরস্ত্র নিতান্ত সহজ-সরল মাটির মানুষগুলোকে হত্যা করা হলো, তখন হৃদয়ের সব যন্ত্রণাকে প্রশমিত করে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার সংকল্প ও পূর্ব পরিকল্পনাকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রজ্বলিত আকাক্সক্ষাকে নির্দিষ্ট কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করি। কারণ, ২৫ মার্চে আমার এক হাতে ছিল বাঁশের বাশরি আরেক হাতে রণতূর্য (তখন আমি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা)। কিন্তু ১৫ আগস্টে হৃদয়ে শুধু রক্তক্ষরণ হয়েছে, কিছুই করতে পারিনি। 

১৫ আগস্টের কিছুদিন আগেও আমি যুবলীগের মহাসচিব ছিলাম। সেখান থেকেও আমাকে সুকৌশলে সরিয়ে দিলে (মনি ভাই এর বিপক্ষে ছিলেন) আমি শুধু নিষ্ক্রিয় ও নিস্তব্ধই হয়ে যাইনি, হয়তো ওই প্রতাপশালী অংশের কেউ আমাকে রক্ষীবাহিনী অথবা আততায়ী দিয়ে হত্যা করিয়ে তারা নিজেরাই শোকসভা, প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করতেন। আমার সুহৃদ, শুভাকাক্সক্ষীদের এমন হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে আমি আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হই। সব ধরনের সংগঠন থেকেই আমাকে বিযুক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের খবর আমি ওইদিন ভোরে আমার পিতার টেলিফোনের মাধ্যমে জানতে পারি। আমি যে বন্ধুর বাসায় থাকতাম, তার টেলিফোন নম্বর কেবল আমার পরিবারের সদস্যদেরই জানা ছিল। খবরটি শুনে পিঞ্জিরাবদ্ধ ব্যাঘ্রের ন্যায় বন্ধুর বাসায় ছটফট করছিলাম।

আজকে একটি নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশ আজ মূলত কার্যকরী বিরোধী দলশূন্য। সরকারি মারাত্মক ভুলের বিরুদ্ধে একটা ফলপ্রসূ ও কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা আজ অসম্ভব প্রায়। কেন এমন হলো? কী করেই বা হলো- সমস্ত রাজনৈতিক অঙ্গন আজ নীরব, নিস্তব্ধ ও নিস্পৃহ প্রায়। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনের মোড়কে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মুক্তির লক্ষ্যে তো সফল আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। আজ কেন রাজনীতির এ দৈন্যদশা!

আজকে যেদিকে তাকাই, সবাই যেন আওয়ামী লীগ। একদিন যারা গণবাহিনী করেছেন, থানার পর থানা লুট করেছেন, খাদ্যগুদামে আগুন দিতে দ্বিধাবোধ করেননি, ঈদের জামাতে সংসদ সদস্য হত্যাকে অত্যন্ত বীরোচিত কাজ মনে করেছেন, যাদের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে মানুষের হৃদয় সর্বদা আতঙ্কিত ও সন্ত্রস্ত থাকত, ১৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর ট্যাংকে উঠে যারা রাইফেল উঁচিয়ে উন্মাদের মতো উল্লাস প্রকাশ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসম্মানজনক স্লোগানে বিষোদ্গার করেছেন, ছাত্রলীগে আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতাম, তাদের দেখলেই নিষ্ঠুর নির্মম ব্যঙ্গ করে ‘মুজিববাদের কাঁধে চড়ে আমেরিকা যাব গো’, ‘শেখ মুজিবের কাঁধে চড়ে দিল্লি যাব গো’ বলে যারা সুর করে গান গাইত, এখন তারাও আওয়ামী লীগ। ডানে তাকালেও আওয়ামী লীগ, বামে তাকালেও আওয়ামী লীগ। সামনে-পেছনে,  উপরে-নিচে ডান-বাম এমনকি স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধীরাও আজ আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে বীরদর্পে সমাজের সর্বত্রই বিচরণ করছেন। তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি অবস্থা ও অবস্থানই নেহায়েত কম নয়। যারা ১৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর ট্যাংকে উঠে রাইফেল উঁচিয়ে অদম্য উল্লাস প্রকাশ করেছেন, তাদেরই কেউ কেউ শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। আপাতত নেই, তবে আবার হতে কতক্ষণ! স্বাধীনতার শত্রু যারা তারাও আজ নৌকার সমর্থকই শুধু নন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী! এই নব্য এবং হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতাদের কনুইয়ের গুঁতোয় কত যে নিবেদিত নেতা ও কর্মী ধরাশায়ী হয়েছেন, কতজন যে রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছেন- তার কোনো ইয়ত্তা নেই। দেশ আজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। প্রশাসন ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এমনভাবে মিশে গেছে যে, স্বাভাবিক সমাজব্যবস্থা ও দুর্নীতির সঙ্গে বিভাজন করাই দুরূহ কাজ। এটা যিনি করতে পারবেন, তিনি গৃহযুদ্ধ থেকে আমেরিকাকে রক্ষাকারী আব্রাহাম লিংকনের সম্মান পাবেন- এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

পাশবিক শক্তির হাতে মর্মান্তিকভাবে বঙ্গবন্ধু নিহত হয়েছেন, ৪৪ বছর হয়ে গেল। এই দীর্ঘ সময়ে দেশ স্বৈরাচারের খাদে পড়েছে। সেখান থেকে কিছুদিনের জন্য হলেও টেনেহিঁচড়ে তুলে গণতান্ত্রিক পথে পরিক্রমণের জন্য তাকে কোনোরকমে খাড়া করা সম্ভব হলেও আবার হোঁচট খেয়ে সেই স্বৈরাচারের গহিন অন্ধকারেই নিপতিত হয়েছে। অনেক চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে জনগণ যখন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করল তখন গণতন্ত্রের অবস্থান সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কপাল মন্দ দেশের, দুর্ভাগ্য প্রান্তিক জনতার। শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদে ডান-বামের সেসব চেনামুখগুলোর কেউ কেউ ঢুকে গেলেন, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে আমজনতার বিরুদ্ধে অনেকবার অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাও ক্ষেত্রবিশেষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছেন। সশস্ত্র বাহিনীর ও তাদের দোসর কিছু ধিকৃত ব্যক্তি ১৫ আগস্ট-পরবর্তী সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। সত্যিই বিচিত্র এই দেশ, বড় দুর্ভাগা এ দেশের মানুষ!

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। প্রগতিশীল জনভিত্তির রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে তিনি ব্যর্থ হলেন। জনগণ যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই অবরুদ্ধ রয়ে গেল। আমরা যেন এক অবরুদ্ধ জাতি। অন্ধকার থেকে আলোর পথে সূর্য¯œাত হয়ে আমরা বেশিক্ষণ হাঁটতে পারি না। জনগণ দুর্দমনীয় আন্দোলন করে বারবার বিজয়ী হয়। কিন্তু আবার অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের নির্মম কশাঘাতে তারা শুধু জর্জরিতই হয় না, তাদের গৌরবদীপ্ত মুখম-ল কেবল কলঙ্কিত হয় না, কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে পরাজিত শত্রুরা পায়ে পায়ে চুপিসারে ক্ষমতায় আসন পেয়ে যায়। আবার সেই ষড়যন্ত্রের খেলা শুরু হয়, আবার জনসমাদৃত নেতারা পিছু হটতে শুরু করেন এবং ক্রমান্বয়ে পরাজিত হতে বাধ্য হন। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত নেতা বা নেত্রীর স্তাবক নেতৃত্ব এমন সুকৌশলে দলের অভ্যন্তরে এবং ক্ষমতাসীন মূল নেতৃত্বের চারপাশে আসন পেতে বসে যে, মূল নেতৃত্বের গণতান্ত্রিক চেতনাটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলে এবং জাতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই নিক্ষিপ্ত হয়।  

বিবেক দ্বারা চালিত লোক আজ সমাজে একান্তই বিরল কিন্তু মোসাহেবের শেষ নেই। শেখ হাসিনার মোসাহেবরা তাকে বোঝাচ্ছেন, তিনি অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকবেন। অনন্তকাল বলতে তারা কী বোঝান জানি না, তবে এভাবে চলতে থাকলে তিনি আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবেন- এ কথা বলা যেতে পারে।

 

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা

 

এই বিভাগের আরও খবর
চোখের যত্ন নিন
চোখের যত্ন নিন
আলো ছড়াচ্ছে গাক চক্ষু হাসপাতাল
আলো ছড়াচ্ছে গাক চক্ষু হাসপাতাল
মেডিকেল ডিভাইস স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি
মেডিকেল ডিভাইস স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি
কলাবাগানের গলি থেকে সারা দেশে পৌঁছেছে লাজফার্মা
কলাবাগানের গলি থেকে সারা দেশে পৌঁছেছে লাজফার্মা
বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য
বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য
হুয়াওয়ে আমাকে শিক্ষকতা পেশার জন্য তৈরি করেছে
হুয়াওয়ে আমাকে শিক্ষকতা পেশার জন্য তৈরি করেছে
সৌরবিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের অগ্রদূত
সৌরবিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের অগ্রদূত
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সহযোগী হুয়াওয়ে
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সহযোগী হুয়াওয়ে
চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের
চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশিদের
৭৬ বছরের প্রয়াস, ৫০ বছরের অংশীদারি
৭৬ বছরের প্রয়াস, ৫০ বছরের অংশীদারি
হৃদরোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি
হৃদরোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি
হার্ট মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ
হার্ট মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ
সর্বশেষ খবর
সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

এই মাত্র | চায়ের দেশ

খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ
সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন
কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম
শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম

২৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো
আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো

২৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার

৩৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে বাড়ির উঠানের গর্তে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ
চট্টগ্রামে বাড়ির উঠানের গর্তে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

৪৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

দুমকীতে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
দুমকীতে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন
ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার
মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন
‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব
গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ
ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক
গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা