বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

কানাডায় বাংলাদেশি ডলি বেগমের ইতিহাস

কানাডায় বাংলাদেশি ডলি বেগমের ইতিহাস

দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব আর কঠোর পরিশ্রমের গুণে বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মৌলভীবাজারের ডলি বেগম তেমনই একজন। কানাডার অন্টারিও প্রদেশে প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি হিসেবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের ৭ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৪ হাজার ১৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডলি বেগম। এর মাধ্যমে কানাডার ইতিহাস গড়লেন ডলি। ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান ডলি বেগম। মনোনয়ন প্রাপ্তির পর থেকেই নড়েচড়ে বসেন কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা আশা করছিলেন ডলি জিতলে সেটি হবে ইতিহাস। সত্যি তাই হলো। প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করছেন, খুব সহজেই তাঁর কাছে সুখ-দুঃখের কথা বলা যাবে। ডলি সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কাছে তাদের হয়ে দাবি-দাওয়া পৌঁছে দেবেন। টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে ডেভেলপমেন্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও প্ল্যান্টে মাস্টার্স করেছেন ডলি। স্কারবোর হেলথ কোলিশনের কো-চেয়ার এবং ওয়ার্ডেন উডসস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-চেয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। ডোই প্রদেশের ওয়াইড হাইড্রো পাবলিক প্রচারাভিযানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন, যারা সফলভাবে টরন্টো হাইড্রো এবং ওয়াসগা বিতরণের ব্যক্তিগতকরণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ডলি বেগমের নির্বাচনী প্রচারণার স্লোগান ছিল, ‘আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের আশাহত করব না।’ ডলির এই বিজয় কানাডায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের প্রেরণা জোগাবে বলে ধারণা সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের। পরিবারের সঙ্গে ছোটবেলায় কানাডায় যান তিনি। ডলি বেগমের চাচা আব্দুস শহীদ জানান, ডলির বাবা রাজা মিয়া প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে তিনি কানাডায় যান। তার স্ত্রী জবা বেগমসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা হলেন ডলি বেগম ও মহসিন মিয়া। কানাডা যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে পরিবার নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে ১৯৯৯ ডলি বেগমসহ সবাইকে কানাডায় নিয়ে যান রাজা। কানাডা যাওয়ার আগে ডলি বেগম স্থানীয় মনুমুখ বাজরাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষে মনুমুখ পিটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন।

সর্বশেষ খবর