টানা দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আরেকটি মিশনে নামছেন আফঈদা খন্দকাররা। লাওসে অনূর্ধ্ব-২০ এএফসি বাছাই পর্বে বাংলাদেশ তাদের গ্রুপের প্রথম ম্যাচ খেলবে আজ। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। ‘এইচ’ গ্রুপে অন্য দুই দল হচ্ছে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। ৮ ও ১০ আগস্ট বাংলাদেশ বাকি দুই ম্যাচ খেলবে। আফঈদা খন্দকারের নেতৃত্বেই নারী জাতীয় দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-২০ দল পারবে কি চূড়ান্ত পর্বে খেলতে? নারী অনূর্ধ্ব-১৬ দল দুবার এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলেছে। অনূর্ধ্ব-২০ দল জায়গা পেলে তা হবে আরেক ইতিহাস। এমনকি ফুটবলে বড় প্রাপ্তি বললেও ভুল হবে না। কেননা গ্রুপে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা রয়েছেন।
নারী জাতীয় দল যখন এশিয়ান কাপে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তখন তো মেয়েরা আর নিচে নামতে পারেন না। মাঠে নামার আগে আফঈদা বলেছেন, ‘শুরুটা জয়ে করতে চাই। ভালো খেলে জয় পেলে লাওসের মাটিতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে; যা পরবর্তী দুই ম্যাচে শক্তির টনিক হিসেবে কাজ করবে। সব প্রতিপক্ষকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাগতিক দলকে শুরুতে হারানোটা বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা শুরুতে জিততে পারলে অন্য দুই ম্যাচের জন্য কৌশলের চিন্তা করব। যে কোনো টুর্নামেন্টে শুরুটা ভালো করা খুবই জরুরি। সেরাটা দিয়েই আমরা লড়ব।’
হেড কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘যাত্রা হোক জয়ে সেই কামনা করছি। মেয়েরা মাঠেই ছিল তাই প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। টার্গেট ছাড়া তো মিশন হয় না। আমাদেরও রয়েছে। তার পরও শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতে আমরা গতি ধরে রাখতে চাই। কে শক্তিশালী কে দুর্বল ভাবছি না। সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
ঢাকায় কিছুদিন আগে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রায় একই দল খেলছে এএফসি টুর্নামেন্টে। পার্থক্য শুধু সাফ ও এএফসি। আফঈদারা যদি সেরাটা দিতে পারেন তাহলে আরেকটি অর্জন সম্ভব হতে পারে। সবার চোখ থাকবে লাওসের দিকে। জাতীয় বা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে একের পর এক সাফল্য পেয়ে যাচ্ছেন বাংলার মেয়েরা। তাই তাঁদের ঘিরেই যত আশা। সত্যি বলতে কি নারী জাতীয় দল এশিয়ান কাপে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেওয়ায় সবার কাছে চ্যালেঞ্জটা বেড়ে গেছে। এখন বাছাই পর্ব খেলা মানেই চূড়ান্ত পর্বের স্বপ্নপূরণ।