শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সমস্যা দেখা দেয় একটু বয়স হলেই। মেয়েদের ক্ষেত্রেই সমস্যার পরিমাণ বেশি। এর কারণ, বাংলাদেশের মেয়েরা বেশিরভাগই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে শরীরে রোগ দেখা দিতে পারে নিকোটিনের কারণে। এরপরই রয়েছে শরীরের নিষ্ক্রিয়তা। প্রতিটি অঙ্গকে নিয়মিত সক্রিয় রাখতে না পারলে কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমেই কোমর, পা ইত্যাদি স্থানে ব্যথা দেখা দেয়। মধ্যবয়সী নারীদের ক্ষেত্রে কোমরের ব্যথা খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। এছাড়া পায়ের ব্যথা তো রয়েছেই। কোমর, পা এবং উরুর ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য খুবই উপকারী একটি ব্যায়াম লেগ সুইং। লেগ সুইং অনেকটা ওয়ার্ম-আপ ব্যায়ামের মধ্যেই পড়ে। খুবই সহজ একটি ব্যায়াম। এমনকি ঘুম থেকে উঠে নিজের ঘরেই এই ব্যায়াম করা যায়। প্রথমেই দুই পায়ের উপর ভারসাম্য রক্ষা করে দাঁড়াতে হবে। এবার দুই দিকে সোজা করে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে পাখির ডানা মেলার মতো। এবার বাম পায়ের উপর শরীরের ভর চাপিয়ে ডান পা উপরে উঠাতে হবে। পা সোজা রেখে সামনের দিকে যতটা সম্ভব বাড়িয়ে দিতে হবে। কিছু সময় পর পা পিছনের দিকে নিতে হবে। এভাবে কয়েক বার সামনে পিছনে করার পর ডান পায়ের শরীরের ভর চাপিয়ে বাম পাকে উপরে উঠিয়ে সামনে পিছনে দোলাতে হবে। লেগ সুইং খুবই সহজে এবং অল্প সময়ে করার মতো একটি ব্যায়াম। ওয়ার্ম-আপের সময়ও এই ব্যায়াম করা যায়। লেগ সুইংয়ের ফলে শরীরের নিচের দিকের অঙ্গগুলো সতেজ ও কর্মক্ষম হয়ে উঠে। বিশেষ করে কোমর, হাঁটু ও গোড়ালির জয়েন্ট মজবুত হয়। সেই সঙ্গে এই জয়েন্টগুলোর জড়তাও কেটে যায়। পায়ের মাংস পেশিও সতেজ হয়ে উঠে। কোমরের ব্যথার ভয়ও থাকে না। তবে লেগ সুইং ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে ভালো করে। এক পায়ে দাঁড়িয়ে আরেক পা সামনে-পিছনে করা বেশ কিছুটা কঠিন কাজ। এই কাজ সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলে ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় রয়েছে। সতর্ক থেকে নিয়মিত লেগ সুইং করতে পারলে পায়ের যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।