বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে ব্রেন্ডন টেলর পরিচিত মুখ। টেস্ট, ওয়ানডের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও এ দেশের ক্রিকেটারদের প্রবল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক। আফ্রিকান প্রতিনিধিদের বিপক্ষে ২০০৪-০৫ মৌসুমে যে সিরিজটি জিতেছিল বাংলাদেশ, ওই সিরিজ খেলেছিলেন টেলর। এবার নিয়ে চতুর্থবার সিরিজ খেলছেন টাইগারদের বিপক্ষে। তিনবারই অধিনায়ক হয়ে। তার অধিনায়কত্বেই ছয় বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফিরে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। নির্বাসন থেকে ফেরার ১৮ মাস পর দেশের বাইরে খেলতে এসেছে জিম্বাবুয়ে। দেশের বাইরে খেলা বলে সিরিজটাকে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে দুই দেশের অবস্থানই তলানির দিকে। শক্তিমত্তাও প্রায় সমপর্যায়ের। তাই দেশের লড়াইটা হয় সবসময়ই জম্পেশ। দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে দুই দলের লড়াই অ্যাসেজ কিংবা ভারত-পাকিস্তান সিরিজের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। জিম্বাবুয়াইন অধিনায়ক সিরিজের গুরুত্ব মানছেন। তবে কঠিন লড়াই হবে মনে করেন টেলর, 'প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজই সমান গুরুত্বপূর্ণ। ১৮ মাস পর দেশের বাইরে টেস্ট খেলব। সুতরাং সিরিজটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অনেক বেশি। এছাড়া সিরিজটিও অনেক বেশি কঠিন হবে বলে মনে করি। সব মিলিয়ে আমরা পুরো সিরিজের দিকেই তাকিয়ে আছি। তবে সিরিজটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।'
বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ছয়টি সিরিজ খেলেছে জিম্বাবুয়ে। একটি হারলেও জিতেছে ৪টি। এবার সপ্তম সিরিজ খেলবে দুই দল। সর্বশেষ দুই সিরিজের একটি জিতেছে জিম্বাবুয়ে এবং অপরটি ড্র হয়েছে। দুটিই খেলেছিল নিজেদের মাটিতে। এবার খেলতে এসেছে বাংলাদেশে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে কতটা ভয়ঙ্কর, সেটা ২০০৫ সালে বুঝেছেন টেলর। সেটা মাথায় রেখেই লড়াইয়ে নামছেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক, 'বাংলাদেশের কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন। দেশের মাটিতে সব সময়ই ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। তাদের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা বাঁ হাতি স্পিনার। সিরিজে ভালো করতে গত কয়েকদিন কঠোর অনুশীলন করেছি। এখানে আসার আগে নিজেদের পরিবেশে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছি। তাই আশা করছি ভালো কিছু করার।'
দেখতে রাশভারী। কিন্তু শিষ্যদের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। জিম্বাবুয়ের কোচ স্টিফ ম্যাঙ্গোঙ্গো। এবারই প্রথম কোচ হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এসেছেন। অ্যাওয়েতে খেলা। তাই ভাবছেন সিরিজটা অনেক বেশি কঠিন হবে, 'টেস্টে সিরিজের আগে আমরা ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন করেছি। সামনে এগিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মাটিতে খেলা অনেক চ্যালেঞ্জিং। পরিচিত কন্ডিশনে ভয়ঙ্কর দল বাংলাদেশ। সুতরাং ভালো করতে হলে সেরাটাই খেলতে হবে আমাদের।' ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন প্রসপার উতসেয়া। দলের অন্যতম সেরা স্পিনারকে ছাড়া খেলাটা কঠিন। তার অনুপস্থিতি দল অনুভব করবে বলেন কোচ, 'অবশ্যই আমরা উতসেয়াকে মিস করব। সে দলের অন্যতম সেরা বোলার এবং একজন সিনিয়র সদস্য। দুঃখজনকভাবে আমরা তাকে পাচ্ছি না। এটাই বাস্তবতা। এটা মেনেই দলের তরুণদের উপর ভরসা রাখতে হচ্ছে। জন নিয়ুম্বু ও ম্যাশেঙ্গারা যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিশীল বোলার।'